Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪

জোরালো হচ্ছে দুর্ঘটনার তত্ত্বই

গত শনিবার বসুকাটির বাসিন্দা গৌতম পাল তাঁর প্রতিবেশী মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন। রাতে আর ফেরেননি। গৌতমের পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হয় মৃত্যুঞ্জয়কে।

গৌতম পাল

গৌতম পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৯
Share: Save:

চার দিন নিখোঁজ থাকা বালির যুবকের মৃত্যুর কারণ দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তথ্য গোপন এবং অপহরণের মামলায় ইতিমধ্যেই ওই যুবকের বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে দুর্ঘটনার তত্ত্বই বারবার উঠে আসছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

গত শনিবার বসুকাটির বাসিন্দা গৌতম পাল তাঁর প্রতিবেশী মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাইকে চেপে বেরিয়েছিলেন। রাতে আর ফেরেননি। গৌতমের পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হয় মৃত্যুঞ্জয়কে। প্রথমে তিনি কাউকে বন্ধুর মৃত্যুর কথা জানাননি। পরে পুলিশি জেরায় জানান, শনিবার রাতে বালিঘাটের কাছে লরি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন গৌতম।

ধৃতকে জেরা করে তদন্তকারীদের অনুমান, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন মৃত্যুঞ্জয়। গৌতম রাস্তায় ছিটকে পড়লে পিছন থেকে আসা লরিটি তাঁকে পিষে দেয়। মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বাইকেও চোট রয়েছে। তবে দু’জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল না।

পুলিশের কাছে মৃত্যুঞ্জয়ের দাবি, গৌতমের মৃত্যুর জন্য তাঁকে দায়ী করা হবে, সেই ভয়ে রাজচন্দ্রপুরে বন্ধুকে নামিয়ে দেওয়ার গল্প ফাঁদেন। যদিও ধৃত সত্যি বলছেন কি না জানতে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরাও পরীক্ষা করবে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত্যুঞ্জয়কে ধরার পরে তাঁর কথাবার্তায় সন্দেহ হয়। ধৃত যুবক ও গৌতমের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান পরীক্ষা করে দেখা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যা থেকে একসঙ্গে ছিলেন দু’জন। রাতে ডানলপ হয়ে উত্তর কলকাতার দিকেও যান। রাত ১২টা নাগাদ ফেরার পথে বালিঘাট বাস স্টপের কাছে লালবাড়ি কাট আউট পর্যন্ত দু’জনের অবস্থান একই জায়গায় থাকলেও, তার পর থেকে গৌতমের অবস্থান জানা যাচ্ছে না। যদিও মৃত্যুঞ্জয় ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলেন, তার প্রমাণ মিলেছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, সে দিন সন্ধ্যায় দুই বন্ধু মদ্যপান করেন। মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান অনুযায়ী, গৌতমের শেষ অবস্থানের সঙ্গে মৃত্যুঞ্জয়ের বয়ান মিলছিল না। তাতে সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। তখনই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Police Accident Death
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy