চালু: পুড়শুড়ার কর্মতীর্থ। নিজস্ব চিত্র
চার বছরে খাতায়-কলমে মাত্র আটটি!
হুগলিতে ‘কর্মতীর্থ’ প্রকল্পে গতি নেই। জেলার ১৮টি ব্লকের জন্য ২০টি ‘কর্মর্তীর্থ’ তৈরি হওয়ার কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত খাতায়-কলমে চালু হয়েছে মাত্র আটটি। এ জন্য গত মঙ্গলবার গুড়াপে জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। এর পরেও কাজে গতি আসবে কিনা, এ প্রশ্ন উঠছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতর এখনও তাদের কাজ শুরুই করতে পারেনি।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শ্রাবণী ধর জানান, ওই দফতরের পক্ষ থেকে যে চারটি কর্মতীর্থ গড়া হচ্ছে, তার কাজ আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। পূর্ত দফতর নির্মাণকাজ করছে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতি ব্লকে অন্তত একটি করে ‘কর্মতীর্থ’ নামে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন ২০১৪ সালের জুলাই মাস নাগাদ। বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষণ ও অর্থসংস্থান-সহ প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার। সেখান থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠী, গ্রামীণ কারিগর এবং ক্ষুদ্র-প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা নিজেদের উৎপাদিত দ্রব্য বিক্রি করতে পারবেন। প্রকল্পটি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর, সংখ্যালঘু বিষয়ক ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের আলাদা ভাবে রূপায়িত করার কথা।
জেলার ২০টি ‘কর্মতীর্থ’-এর মধ্যে ন’টি তৈরির কথা সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে রয়েছে সাতটি এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের অধীনে রয়েছে চারটি। এর মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের ‘কর্মতীর্থ’-এই বরাদ্দ সবচেয়ে বেশি। সাড়ে তিন কোটি থেকে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। বাকিগুলি প্রায় দু’কোটি টাকা থেকে আড়াই কোটি টাকার মধ্যে।
যে আটটি কর্মতীর্থ’ খাতায়-কলমে চালু হয়েছে, তার মধ্যে সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অধীনে হয়েছে চারটি (আরামবাগের আরান্ডি, বলাগড়ের ইছাপুর, ধনেখালি বাসস্ট্যান্ড এবং বাঁশবেড়িয়ার রেলগেট সংলগ্ন এলাকা)। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের তহবিলে গড়া ‘কর্মতীর্থ’ চালু হয়েছে চার জায়গায় (চণ্ডীতলা-২ ব্লকের ডানকুনি, পুরশুড়া, পোলবা এবং চুঁচুড়া-মগরা ব্লকে)।
বাকি ‘কর্মতীর্থ’ নির্মাণ এবং চালু করা নিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা কী বলছেন?
জেলা সংখ্যালঘু বিষয়ক এবং মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তথা অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আমাদের অধীনে বাকি পাঁচটি কর্মতীর্থের কাজ আগামী মে মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করা হবে।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের আওতায় থাকা সাতটি মধ্যে তিনটির নির্মাণ জমি সমস্যায় পিছিয়ে রয়েছে। সেগুলির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্লক প্রশাসন বিকল্প পথ খুঁজছেন।”
ফলে, জেলায় ২০টি ‘কর্মতীর্থ’ কবে থেকে পুরোদস্তুর চালু হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy