Advertisement
২২ জানুয়ারি ২০২৫
Death

বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বৃদ্ধকে খুন

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রতাপ বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করতেই রবীন্দ্রনাথবাবু সাইকেল থেকে পড়ে যান।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৭
Share: Save:

পড়শি যুবকের সঙ্গে স্ত্রী চলে যাওয়ায় গোঘাটের বালি শিবকুঠি পাড়ার প্রতাপ মল্লিকের আক্রোশ ছিলই। এ জন্য এক বছর ধরে প্রায়ই পিন্টু রুইদাস নামে ওই যুবকের বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রতাপের অশান্তি হচ্ছিল। সেই আক্রোশেই বুধবার দুপুরে পিন্টুর বাবা রবীন্দ্রনাথ রুইদাসকে (৬০) বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠল প্রতাপের বিরুদ্ধে।

পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন শিবকুঠির মাঠে একটি সঙ্কীর্তনের আসরের জন্য গ্রামবাসীদের খাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। দুপুরে রবীন্দ্রনাথবাবু সাইকেলে সেখানে যেতে গিয়েই আক্রান্ত হন। ঘটনার পরেই নিহত তৃণমূল খর্মী এবং অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী বলে রটে যাওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। যান তৃণমূল নেতারা। মহকুমা পুলিশের এক কর্তা জানান, মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যায় অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, প্রতাপ বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করতেই রবীন্দ্রনাথবাবু সাইকেল থেকে পড়ে যান। ফের তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। সকলে যখন বৃদ্ধকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, সেই সুযোগে প্রতাপ পালায়। বৃদ্ধকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতাপ আগে দিল্লিতে সোনার কাজ করত। পিন্টু নিজের বাড়ির কাছের একটি ঘরে জরির কাজ করতেন। প্রতাপের স্ত্রী জরির কাজ জানায় বছর দুয়েক আগে পিন্টুর কাছে কাজ শুরু করেন। এ জন্য মাঝেমধ্যে দিল্লি থেকে ফিরে স্ত্রীকে সন্দেহ করত প্রতাপ। দম্পতির চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। এক বছর আগে প্রতাপের স্ত্রী পিন্টুর সঙ্গে পালিয়ে যান। প্রতাপ দিল্লি থেকে ফিরে আরামবাগে একটি সোনার দোকানে কাজ নেয়। অভিযোগ, তখন থেকে প্রায়ই প্রতাপ মদ্যপ অবস্থায় পিন্টুর বাড়িতে চড়াও হলে তাঁর পরিবারের লোকজনকে মারধর করত। গ্রামবাসীরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠক করে প্রতাপকে সতর্কও করেন। অশান্তি চলতেই থাকে।

পিন্টুর মা শোভাদেবী বলেন, “কাজ করতে এসে ছেলের সঙ্গে প্রতাপের স্ত্রীর ভাব-ভালবাসা হওয়ার বিষয়টা জানতাম না। এক বছর আগে প্রতাপ মারধর করায় ওর বউ এখানে কাজ ছেড়ে, নিজের সংসার ছেড়ে বাপের বাড়ি পালায়। ফোনে আমার ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওরা খানাকুলের বন্দরে পালায়। ওখানেই থাকে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Death Crime Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy