রাস্তার মাঝে চিড়। নিজস্ব চিত্র।
নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। তার আগেই ফেটে চৌচির কংক্রিটের রাস্তা!
শ্রীরামপুরের পাঁচুবাবুর বাজারের কাছ থেকে রায়ল্যান্ড রোড স্থানীয় গলাপোলে গিয়ে মিশেছে। রেল লাইন বরাবর প্রায় আধ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৩.৮ মিটার চওড়া ওই পিচ রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল ছিল। প্রায় আড়াই মাস আগে রাস্তাটিকে কংক্রিটে মুড়ে ফেলার কাজ শুরু করে পুরসভা। বেশির ভাগ অংশের ঢালাই ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ঢালাই রাস্তাটি বিভিন্ন জায়গায় পাথর উঠে গিয়েছে। একটি জায়গায় আড়াআড়ি ভাবে চিড় ফাটল ধরেছে। নিম্ন মানের কাজের জন্যই এই পরিস্থিতি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। শুক্রবার এলাকাবাসীর সই সংবলিত অভিযোগপত্র জমা পড়ে পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায়ের কাছে। অভিযোগ জানানো হয় মহকুমাশাসক রজত নন্দার কাছেও।
অভিযোগ পেয়েই পুর-কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসেন। পুরপ্রধান বিষয়টি পুরসভার পূর্ত বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল উত্তম রায়কে দেতে বলেন। উত্তমবাবু সংশ্লিষ্ট ওভারসিয়ারকে লিখিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। উত্তমবাবু বলেন, ‘‘তদন্ত হচ্ছে। কাজে কোনও গাফিলতি থাকলে বরদাস্ত করা হবে না।’’
পুরসভার একটি সূত্রের খবর, ওই এলাকায় খাদ্য দফতরের গুদাম রয়েছে। রয়েছে রেলের সাইডিং। ভারী ভারী ট্রাক ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। অন্যান্য কারখানার ট্রাক বা অন্য গাড়িও চলে। ভারী গাড়ির কারণে রাস্তাটি জীর্ণ হয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই রাস্তাটি পোক্ত করতে কংক্রিটের ঢালাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিছু দিন আগে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে পুরসভা একটি তহবিলের টাকা পায়। সেই তহবিল থেকেই কংক্রিটের রাস্তাটির জন্য ৫২ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়।
কিন্তু সেই রাস্তা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই ফেটে যাওয়ায় এলাকাবাসী রীতিমতো ক্ষুব্ধ। স্থানীয় বাসিন্দা, তৃণমূল নেতা অন্বয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এখনও ট্রাক চলেনি, তাতেই কোথাও রাস্তা ফেটেছে, কোথাও পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। ভারী ট্রাক চলাচল করলে রাস্তা ক’দিন টিকবে? সঠিক উপায়ে এবং উপযুক্ত সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়নি বলেই এই অবস্থা বলে মনে হচ্ছে।’’ এলাকার বাসিন্দা কৃষ্ণ যাদব, প্রবীর মল্লিকরা রাস্তাটি ঠিক ভাবে তৈরির দাবি তুলেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy