আটকে গিয়েছে যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজ। ব্যাহত হচ্ছে পুরসভার কাজকর্ম। তবু দলের দুই নেতার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিরাম নেই তৃণমূল পরিচালিত তারকেশ্বর পুরসভায়। বিরোধ মেটাতে জেরবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব পুরসভার কাজকর্ম পর্যালোচনার জন্য এ বার স্থানীয় বিধায়ককে মাথায় রেখে একটি মনিটরিং কমিটি গড়ে দিল। তবে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় কাউন্সিলরদের অনেকেই ক্ষুব্ধ।
দীর্ঘদিন ধরেই নানা বিষয়ে পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত এবং উপ-পুরপ্রধান উত্তম কুণ্ডুর মধ্যে বিরোধে পুরসভা সরগরম। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে শাসক দলকে। সম্প্রতি পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে এক তরফা কাজের অভিযোগ তুলে পুরসভার আট কাউন্সিলর সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর ফলে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার মন্ত্রী তথা ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রের বাড়িতে বৈঠক হয়। অসীমা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি ও মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত এবং তারকেশ্বরের বিধায়ক রচপাল সিংহ। পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান-সহ ১৫ জন কাউন্সিলরই উপস্থিত ছিলেন। দলীয় সূত্রে খবর, বৈঠকে দুই নেতাকেই ‘সতর্ক’ করে দেওয়া হয়েছে। এর পরেও সমস্যা না মিটলে প্রয়োজনে ‘প্রশাসক’ বসানোরও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত বিধায়ক রচপাল সিংহকে মাধায় রেখে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রচপাল ছাড়াও রয়েছেন পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান এবং বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান। রচপাল জানান, পনেরো দিন অন্তর মনিটরিং কমিটির বৈঠক হবে। কোনও অসুবিধা থাকলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তপনবাবু বলেন, ‘‘মনিটরিং কমিটিতে আলোচনা না করে কোনও কাজ হবে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ওই পুরসভার যাবতীয় সমস্যা মিটে গিয়েছে।’’
যদিও বৈঠকের সিদ্ধান্তে কাউন্সিলরদের অনেকেই অসন্তুষ্ট। তাঁদের বক্তব্য, বার বার দলের তরফে ‘জোড়াতাপ্পি’ দিয়ে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy