—প্রতীকী ছবি
একটি ভুয়ো ক্লাবের নামে আরামবাগের তৃণমূল নেতা নীতীশ ভট্টাচার্য সরকারি অনুদানের এক লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন, এ অভিযোগ উঠেছিল চলতি বছরের এপ্রিলে। আট মাস পেরোতে চলল। তদন্তের কোনও কিনারা হল না। প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর মিলছে না। অভিযুক্ত নেতাও বহাল তবিয়তে আছেন। তবে, ওই টাকা উদ্ধারকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন এলাকাবাসী।
মহকুমাশাসক (আরামবাগ) নৃপেন্দ্র সিংহ বলেন, “তদন্তকারী দল এসেছিল। নথিপত্র নিয়ে গিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে। এ বার যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর তাদের মতো করে বিচার করবে।” জেলা যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া আধিকারিক অলিভিয়া রায় বলেন, “তদন্ত রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছি। তারপর আর কিছু জানি না।” রাজ্য যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের যুগ্ম সচিব গৌতম বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টা জানা নেই।”
একবার তদন্তের পরে শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘নবপল্লি মাঠপাড়া সম্প্রীতি সঙ্ঘ’ নামে ওই ভুয়ো ক্লাবের ব্যাপারে সরকারকে আর কোনও পদক্ষেপ করতে না-দেখে এলাকাবাসী মনে করছেন, বিষয়টা ধামাচাপা দিতে চাইছে শাসকদল। তাঁদের পক্ষে শঙ্কর রায় এবং বিমল মল্লিক বলেন, ‘‘ক্লাবের নামে লুটের টাকা সরকারি ভাবে যদি না উদ্ধার হয়, আমরাই তা উদ্ধার করে পাড়ার উন্নয়নে ব্যবহার করব। গত দু’বছরেও ওই ভুয়ো ক্লাবের নামে অনুদানের টাকা তুলেছেন অভিযুক্ত নেতা। তিনি তো ‘বঙ্গধ্বনি যাত্রা’ কর্মসূচিতেও ঘুরছেন।’’
যাঁর সুপারিশে ওই ভুয়ো ক্লাবের নামে অনুদান এসেছে বলে অভিযোগ, আরামবাগের বিধায়ক সেই কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরাও এর হেস্তনেস্ত চাইছেন। তিনি বলেন, “বিষয়টি এখনও তদন্তের স্তরে আছে বলেই শুনছি। অথচ আমার সঙ্গে তদন্তকারী দল বা সংশ্লিষ্ট দফতরের কেউ যোগাযোগ করেননি। কয়েকদিন আগে ‘বঙ্গধ্বনি’ কর্মসূচিতে নীতীশের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তিনিও কিছু বলেননি। বিষয়টার অবিলম্বে হেস্তনেস্ত হওয়া দরকার।” তৃণমূলের ব্লক সভাপতি পলাশ রায় দাবি করেছেন, তদন্ত চলছে। ক্লাব নিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সরকার নিশ্চিত ভাবেই ব্যবস্থা নেবে।
গত ১৫ জুন, মাত্র একবারই ওই ক্লাবটির অস্তিত্ব খুঁজতে জেলা যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া আধিকারিক অলিভিয়ার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্তকারী দল এসেছিল। প্রথমে নবপল্লির মানুষের কাছে ক্লাবটির হদিস জানতে চায় দলটি। এলাকাবাসী হদিস দিতে পারেননি। পরে নীতীশকে সঙ্গে নিয়ে ওই ওয়ার্ডেরই আরামবাগ স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় যায় তদন্তকারী দল। দলের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, সে সময় স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি অর্ধনির্মিত ঘর দেখিয়ে নীতীশ দাবি করেছিলেন, ক্লাবটি তৈরি হচ্ছে। তারপর সেখানকারই একটি ভাড়াঘর দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, ক্লাবটি আপাতত ওখানে চলছে। এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও নিয়ে গিয়েছিল দল।
তারপরে কী হল, সেটাই প্রশ্ন। নীতীশ অবশ্য তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তাঁর নির্লিপ্ত জবাব, “তদন্তককারী দল যা যা চেয়েছিল, সব দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার সরকার ভাববে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy