অন্তঃসত্ত্বা ভ্রাতৃবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা এবং দফায় দফায় মারধরের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। রবিবার হুগলির হিন্দমোটরের ঘটনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে নির্যাতিতা ওই মহিলার স্বামী কাজে বেরিয়ে যান। মহিলা ঘরে একাই ছিলেন।
অভিযোগ, সেই সময় ভাসুর ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রুখে দাঁড়ান ওই মহিলা। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ভাসুর। প্রথমে তাঁকে কিল, চড় ও ঘুঁসি মারা হয়। মহিলার চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তাঁর শাশুড়ি চলে আসেন। তিনি ছেলেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। শেষে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
এর পরে অভিযুক্তের স্ত্রী-কে বিষয়টি জানানো হলে, তিনি স্বামীর অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে ওই নির্যাতিতাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
ওই দিনই নির্যাতিতার স্বামী দাদা এবং বৌদির বিরুদ্ধে উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন,‘‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে নির্যাতিতা যে অভিযোগ করছেন তার সত্যতা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। আমরা সবদিক খোলা রেখেই তদন্ত করছি।’’
তদন্তকারী অফিসারেরা বলেন, হিন্দমোটর জোড়া পুকুর এলাকার বাসিন্দা ওই পরিবারে দীর্ঘদিন ধরেই ভাই-ভাইয়ে সম্পত্তি নিয়ে গণ্ডগোল ছিল। অনেক সময় দু’ভাইয়ের স্ত্রীর মধ্যে মারপিটও হত। পুরো বিষয়টি মেটাতে পা়ড়াপ্রতিবেশিরা দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেন। বড় ভাইকে নির্দিষ্ট টাকা দিলে তিনি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবেন এমন আশ্বাসও দেন। সম্প্রতি তিনি ওই এলাকার জোড়াপুকুরে একটি দোকান করেন। চলতি মাসে তাঁকে টাকা দেওয়ার কথাছিল। কিন্তু ছোট ভাই তা দেননি। সেই নিয়ে বচসার জেরে ফের দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট, গণ্ডগোল বাধে।
নির্যাতিতার স্বামী বলেন, ‘‘আমাদের সম্পত্তি নিয়ে একটা পারিবারিক সমস্যা রয়েছে। দাদা-বৌদি দু’জনেই আমরা স্ত্রীকে মেরেছে।’’ ধৃত ব্যক্তি অবশ্য পুলিশের কাছে দাবি করেন, ‘‘পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ। দুই বৌয়ের মধ্যে গোলমাল হয়। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়েই দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy