Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বন্যা নিয়ন্ত্রণে জোর মমতার

এ দিন হাওড়ার শরৎ সদনে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন জেলার একমাত্র বিরোধী বিধায়ক, কংগ্রেসের অসিত মিত্র। তিনি আমতা থেকে নির্বাচিত।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নুরুল আবসার
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৯ ০২:৩৫
Share: Save:

অতিবৃষ্টি হলে এবং ডিভিসি বাড়তি জল ছাড়লেই প্লাবিত হয় হাওড়া, হুগলি এবং বর্ধমানের একটা বড় অংশ। ঘর ছেড়ে ত্রাণ শিবিরে যেতে হয় বহু মানুষকে। বিশ্বব্যাঙ্কের থেকে ২৭০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে সেই সমস্যার সমাধানে স্থায়ী পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে শুধু হাওড়া জেলার আমতা এবং উদয়নারায়ণপুরের জন্য ৪০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা হচ্ছে বলেও সোমবার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ দিন হাওড়ার শরৎ সদনে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে ডাক পেয়েছিলেন জেলার একমাত্র বিরোধী বিধায়ক, কংগ্রেসের অসিত মিত্র। তিনি আমতা থেকে নির্বাচিত। ওই এলাকা বন্যাপ্রবণ। তিনি বৈঠকে নদীবাঁধগুলির সংস্কারের দাবি জানান। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রতি বছর নদীবাঁধ সংস্কার হলেও ডিভিসি জল ছাড়লে তা কাজে আসে না। সে জন্য বিশ্বব্যাঙ্কের ২৭০০ কোটি টাকায় তিনটি জেলায় পাকাপাকি বন্যা নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মমতা বলেন, ‘‘হাওড়া জেলায় ৪০০ কোটি টাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই টাকায় মান্দারিয়া খাল, রামপুর খাল এবং হুড়হুড়িয়া খালের সংস্কার করা হবে। সব কিছু চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিলেই চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাস নাগাদ কাজ শুরু হয়ে যাবে। অনুমোদনের প্রক্রিয়া অনেক এগিয়ে গিয়েছে।’’

শুধু এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েই থামেননি মমতা। ডিভিসি যাতে একলপ্তে বেশি জল না-ছাড়ে, সে জন্য সেচ দফতরের কর্তাদের সমন্বয় রেখে কাজ করার পরামর্শও দেন তিনি। একই সঙ্গে জেলার নদী-খাল থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে কচুরিপানা তোলায় মৎস্যজীবীদের শামিল করা যা কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে জেলার বিধায়কেরা নানা প্রস্তাব দেন। কিছু অনুরোধও জানান। তার মধ্যে শ্যামপুরের বিধায়ক কালীপদ মণ্ডল শিবগঞ্জে হুগলি নদীর ধারে একটি কৃষি সমবায়ের পরিত্যক্ত ১০০ একর জমিতে শিল্প গড়ার প্রস্তাব দিলে বৈঠকে হাজির উলুবেড়িয়া বণিকসভার প্রতিনিধিরা আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কালীপদবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করার কথা বলেন। অনন্তপুরে একটি সুতোকলের রাস্তা সংস্কারের জন্যেও অনুরোধ জানান কালীপদবাবু। মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত (সড়ক) দফতরকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন।

ডোমজুড়ের শাঁখারিদহ মৌজায় পুকুর ভরাট হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান জগৎবল্লভপুরের বিধায়ক আব্দুল গনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জেলাশাসকের কাছে কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন।

বৈঠকে শুধু একবারই ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পে চেক দেওয়ার ক্ষেত্রে লক্ষমাত্রা পূরণ না-হওয়ায় এবং তফসিলি জাতি-উপজাতিদের শংসাপত্র বিলিতে দেরি হওয়ায়। জেলাশাসক মুক্তা আর্য অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Mamata Banerjee Flood Administrative Meeting
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy