বিপাকে: গাড়িতে আটকে লকেট। নিজস্ব চিত্র
দলের নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রবিবার শ্রীরামপুরে পথ অবরোধ করেছিল কংগ্রেস। দলীয় কর্মসূচিতে কোন্নগরে যাওয়ার পথে সেই অবরোধে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি আটকে পড়ায় হুলস্থুল হল। দুই দলের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে কার্যত ধস্তাধস্তি হয়। বিশৃঙ্খলার মধ্যে পুলিশ সাংসদকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁর গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা চাপড় মারেন বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে পরে হুগলির বিজেপি সাংসদের কটাক্ষ, ‘‘ওঁরা বোধহয় আমাকে দেখে অক্সিজেন পেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন আটকে রেখে প্রচারে আসবেন। কিন্তু কংগ্রেসের এখন অস্তিত্বই নেই। দলীয় কর্মসূচিতে যেতে দেরি হওয়ায় দলের লোকজনকেই বলি। ওঁরাই আমাকে নিয়ে যান। ততক্ষণ পর্যন্ত পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল।’’ পক্ষান্তরে, জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি অমিতাভ দে বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্সের মতো জরুরি পরিষেবার গাড়ি আমরা ছেড়ে দিয়েছি। কিন্তু সাংসদকে ছাড়লে তো অন্যদেরও ছাড়তে হতো। ওটা ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। উনি বিকল্প পথে গেলেন না কেন? বিজেপির লোকজন আমাদের উপরে হামলা করল। বিশৃঙ্খলা হল। তৃণমূল এবং বিজেপি যে একই সরলরেখায় আছে, বোঝা গেল।’’
সন্ময়বাবুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন বেলা সকাল ১১টা নাগাদ শ্রীরামপুরের বটতলায় অবরোধ শুরু করে কংগ্রেস। অবরোধে লকেটের গাড়ি আটকে পড়ায় তাঁর সঙ্গী এবং নিরাপত্তারক্ষীরা অবরোধকারীদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন। সাংসদও গাড়ি থেকে বেরিয়ে একই অনুরোধ করলেও অবরোধকারীরা কান দেননি। তাঁরা জানিয়ে দেন, পুলিশ এবং তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের ‘অনৈতিক কাজে’র প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। অবরোধ চলাকালীন কাউকেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। এ সবের মধ্যেই দলীয় পতাকা হাতে বিজেপির কিছু লোক চলে আসায় গোলমাল বাধে। বেগতিক বুঝে পুলিশ কোনও রকমে লকেটের গাড়ি বের করে দেওয়ার সময়ে সাংসদের গাড়িতে বিক্ষোভকারীরা চাপড় মারেন বলে অভিযোগ। মিনিট চল্লিশ অবরোধ চলে।
এ দিন বাগনান-শ্যামপুর রোডেও শ্যামপুর ব্লক কংগ্রেস কমিটির তরফে অবরোধ হয়। সকাল ১০টা থেকে আধ ঘন্টা ধরে চলে অবরোধ। পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy