প্রতীকী ছবি।
বিচার চেয়ে দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে ফের এক বার দরবার করবেন বলে শনিবার জানিয়েছিলেন হরিপাল থেকে নির্বাচিত তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্যা শম্পা দাস। জেলা পরিষদের বৈঠকে যাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। রবিবার সুর কিছুটা চড়িয়ে শম্পা জানালেন, বিচার না-পেলে আদালতে যাওয়ার ব্যাপারে আগে থেকেই মনস্থির করে রেখেছেন তিনি।
হরিপালের আশুতোষ পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন শম্পা। দলের জেলা ও রাজ্য নেতাদের কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন। এরপর তাঁরই বাড়ির প্রধান ফটকের সামনে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কয়েকটি গাছ বসিয়ে দেওয়া হয় পঞ্চায়েতের তরফে। সেই প্রভাবশালী নেতার নির্দেশেই এই কাজ করা হয় বলে দাবি করেছিলেন শম্পা। গত ছয় মাসে গাছগুলি বেশ বড় হয়েছে। গেটের সামনে গাছ বসানোয় ছ’মাস ধরে তিনি গাড়ি বার করতে পারছেন না।
রবিবার শম্পা বলেন, ‘‘এ বার আমার মেয়ের নিট পরীক্ষার আসন পড়েছিল বজবজে। বাড়িতে গাড়ি রয়েছে। কিন্তু তা বার করতে পারিনি। গাড়ি ভাড়া করে মেয়েকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে যাব ভেবেছিলাম। কিন্তু প্রচুর টাকা ভাড়া চাওয়ার মেয়েকে পরীক্ষায় বসাতে পারিনি।’’ তাঁর সংযোজন: ‘‘মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছে। কলেজে যাবে। তার গাড়ির প্রয়োজন। তাই দলকে অনুরোধ করব, সমস্যার মিটিয়ে দিন। কিন্তু তাতে কাজ না-হলে আদালতে যাব বিচার চাইতে। কষ্টের পয়সায় গাড়ি কিনেছি। ফেলে নষ্ট করতে পারব না।’’
দলের নতুন জেলা কমিটিতে সাধারণ সম্পাদিকার দায়িত্ব পেয়েছেন শম্পা। তিনি জানান, প্রথম বৈঠকেই নিজের সমস্যার কথা নেতৃত্বকে জানাবেন। তাঁর আশা, ‘‘তাতে কাজ হবে। তবে না-হলে আদালতে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই।’’
তৃণমূলের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘হরিপালের ওই জেলা পরিষদ সদস্যার সমস্যাটি পুরনো। অনেকেরই বিষয়টি জানা। তবে দলকে তিনি ফের জানালে বিষয়টি নিয়ে কোর কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করব। সকলে মিলে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy