রথযাত্রার এক সপ্তাহ আগে মাহেশে পর্যটন কেন্দ্রের পরিকল্পনা সেরে গেলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। শনিবার তিনি সপার্ষদ জগন্নাথ মন্দিরে আসেন। ছিলেন হুগলির জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান, মহকুমাশাসক রজত নন্দা। জগন্নাথ মন্দির ঘুরে দেখেন ইন্দ্রনীল। আলোর ব্যবস্থা, অতিথিশালা নিয়ে শ্রীরামপুরের পুরপ্রধান অমিয় মুখোপাধ্যায় এবং মন্দির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সূত্রের খবর, আপাতত ঠিক হয়েছে, প্রথমে মন্দির সংস্কার করা হবে। মন্দিরের পাশের জায়গায় অতিথিশালা তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয় মন্ত্রীকে। মন্ত্রী জানান, জায়গাটি অতিথিশালা করার পক্ষে আদর্শ। প্রস্তাবিত প্রকল্পে মন্দির চত্ত্বর সাজানো হবে। শুধু তাই নয়, জগন্নাথ মন্দির থেকে মাসির বাড়ি মন্দির পর্যন্ত রাস্তার দু’ধার আলো দিয়ে সাজানোর কথা রয়েছে।
সাংবাদিকদের মন্ত্রী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এক বছরের মধ্যেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, বিদেশিরা যাতে থাকতে পারেন, সে দিকে তাকিয়েই অতিথিশালা তৈরি হবে।’’
মাহেশের রথযাত্রা ছয় শতকের প্রাচীন। বঙ্কিমচন্দ্রের রাধারানী গল্পে মাহেশের রথযাত্রার উল্লেখ রয়েছে। চৈতন্যদেব স্বয়ং এখানকার রথে এসেছিলেন। মাহেশবাসীর ক্ষোভ, ঐতিহ্যের মুকুটে বহু পালক থাকলেও এ তল্লাট পর্যটন মানচিত্রে অবহেলিতই থেকে গিয়েছিল। বাম আমলে শ্রীরামপুরের বিধায়ক থাকাকালীন রত্না দে নাগ (এখন হুগলির সাংসদ) মাহেশকে হেরিটেজ ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর চেষ্টা ফলপ্রসূ হয়নি। ২০১৫ সালে শ্রীরামপুরের বর্তমান বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে মাহেশকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা হয়। কিন্তু এত দিন সব উদ্যোগ ছিল কাগজ-কলমেই।
১ জুন তারকেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করার পরে অবশ্য ছবিটা বদলেছে। এ বার মন্ত্রী এবং দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের আগমনে মাহেশের বাসিন্দারা আরও বেশি আশান্বিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy