বেনিয়ম: স্কুলের বারান্দায় চলে রান্না। নিজস্ব চিত্র
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নাঘরে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজ। ফলে মিড-ডে মিলের রান্নার ব্যবস্থা হয়েছে বিদ্যালয়ের বারান্দায়। রান্নার ধোঁয়ায় পড়ুয়াদের সমস্যা হচ্ছে। জগরামপুর অমরেন্দ্র বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিযোগ, বারাবার বলা সত্ত্বেও পঞ্চায়েত প্রধান বিষয়টি নিয়ে কর্ণপাত করছেন না।
উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের জোয়ারগোড়ি পঞ্চায়েতের জগরামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ঘর নতুন করে তৈরি করার কথা হয়। ফলে অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানোর জন্য জগরামপুর অমরেন্দ্র বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ঘর নিয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত। কিন্তু বছর পার হয়ে গেলেও স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি তৈরি হয়নি। ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নাঘরেই চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্র।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি অসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। ব্লক প্রশাসন নজর দিচ্ছে না। স্থানীয় বাসিন্দা সুদীপ ঘোষ ও নারায়ণ মণ্ডল জানান, আগে জগরামপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে টালির ছাউনি ছিল। বছর খানেক আগে ব্লক প্রশাসন থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রেটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জগরামপুর অমরেন্দ্র বোর্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রান্নাঘরে অস্থায়ীভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালানোর ব্যবস্থা করা হয়। অভিযোগ, জগরামপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ঘর তৈরি হলেও জানলা, দরজা ও মেঝের কাজ হয়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ফাঁকা পড়ে থাকার ফলে সন্ধ্যার পর সেখানে মদের আসর বসছে।
বর্তমানে যেখানে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চলছে সেটি ছিল বিদ্যালয়ের রান্নাঘর। সেখানে এলপিজি গ্যাসে মিড-ডে মিল রান্না হত। এখন ক্লাসঘরের সামনেই কাঠের জ্বালানিতে রান্না করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলরাম কাঁজি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের প্রধান দু’মাসের জন্য একটি অস্থায়ী ঘর চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় একবছর হয়ে গেলেও নতুন স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি হয়নি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে বারান্দায় রান্না করছি। প্রধানকে বিষয়টি নিয়ে অনেকবার বলা হলেও কোনও কাজ হয়নি।’’
জোগাড়গোড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান মথুর ভুঁইয়া বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজটি শেষ করতে ব্লক প্রশাসন ঢিলেমি করছে। এই বিষয়ে বিডিও-কে একাধিকবার বলেছি। প্রয়োজনে আবার বিডিও-কে অনুরোধ করব।’’
উলুবেড়িয়া ২ ব্লকের বিডিও নিশীথ কুমার মাহাতো বলেন, ‘‘জেলা প্রশাসন একটি এজেন্সির মাধ্যমে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কাজটি করাচ্ছে। আমরা ওই এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করবে বলে জানিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy