আর্তি: আগুন নেভানোর চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র
আগুন লেগে রবিবার পুড়ে গেল ডানকুনির একটি সোফার গুদাম এবং পাশের ভোজ্য তেলের কারখানা। দুপুর থেকে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন কাজ করলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ওই ঘটনায় কেউ অবশ্য হতাহত হননি। অগ্নিকাণ্ডের কারণ পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে দমকল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ডানকুনির ১ নম্বর ওয়ার্ডের চাকুন্দিতে দিল্লি রোড লাগোয়া ওই সোফার গুদাম চালু হয় ছ’মাস আগে। এ দিন ওই গুদামে কেউ ছিলেন না। দুপুর একটা নাগাদ ভোজ্য তেলের কারখানার শ্রমিকেরা সেখানে আগুন জ্বলতে দেখেন। প্রাথমিক ভাবে তাঁরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ এবং দমকলে খবর দেওয়া হয়। ডানকুনি থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসে। পুলিশও পৌঁছয়। ততক্ষণে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। পরে উত্তরপাড়া, শ্রীরামপুর, বালি থেকেও দমকলের ইঞ্জিন আসে। এক সময় ভোজ্য তেলের কারখানাতেও আগুন ছড়ায়। সন্ধ্যাতেও দু’টি জায়গা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।
ভোজ্য তেল কারখানার শ্রমিক জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘গুদামে কেউ ছিলেন না। আমরা আগুন দেখেই জল দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পেরে উঠিনি।’’ দমকল পৌঁছতে দেরি করেছে বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে দমকলের হাওড়া ডিভিশনের আধিকারিক দীপঙ্কর পাঠক ওই অভিযোগ নস্যাৎ করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘গুদামে আগুন নেভানোর কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ভোজ্য তেলের কারখানায় ব্যবস্থা থাকলেও প্রয়োজনের সময় তা কাজ করেনি। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হবে।’’
অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা যে ছিল না, তা গুদাম-মালিক গৌরীশঙ্কর আগরওয়ালের কথা থেকেই পরিষ্কার। তিনি বলেন, ‘‘গুদামে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা লাগে না। তবে, প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল।’’ ক্ষতির পরিমাণ তিনি জানাতে পারেননি। ভোজ্য তেলের কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা ডানকুনির পুরপ্রধান হাসিনা শবনম এবং বিধায়ক স্বাতী খোন্দকার ঘটনাস্থলে আসেন।
মাসখানেক আগে এই ডানকুনিরই বন্দের বিলে একটি ছাতা কারখানায় আগুন লেগে এক মহিলা শ্রমিক মারা যান। প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির একটি কারখানাতেও সম্প্রতি আগুন লাগে। কেন বারবার ডানকুনির বিভিন্ন কারখানায় আগুন লাগছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাধারণ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy