—ফাইল চিত্র।
বন্যা রোধে প্রায় ৪০ কোটি টাকায় আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে গত নভেম্বর থেকে। কিন্তু পরিকল্পনায় ত্রুটি ধরা পড়ায় তড়িঘড়ি তা সংশোধনে উদ্যোগী হয়েছে সেচ দফতর। না হলে গোটা প্রকল্পটিই ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রকল্প বলছে, মহকুমার সমস্ত জমা জল বিভিন্ন খাল হয়ে গিয়ে পড়বে অরোরা খালে। সেই খালবাহিত হয়ে জল গিয়ে পড়বে খানাকুলের দক্ষিণ প্রান্তে, রূপনারায়ণ নদে। অরোরা খাল প্রায় ১৬ কিলোমিটার লম্বা। কিন্তু আরামবাগ মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী ইতিমধ্যে খালের মাত্র চার কিলোমিটার সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। খালের বাকি ১২ কিলোমিটার কোথাও মজে গিয়ে সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে, কোথাও আবার ভরাট হয়ে গিয়েছে। অথচ, ওই অংশ সংস্কারের উল্লেখ নেই প্রকল্পে।
ওই ১২ কিলোমিটার সংস্কার না হলে প্রকল্পের সার্থকতা কী ভাবে আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গ্রামবাসীরাই। সেচ দফতর-সহ প্রশাসনের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগও তুলছেন তাঁরা। ‘দিদিকে বলো’তে নালিশ জানিয়ে অবিলম্বে সরেজমিনে তদন্ত করে খালের বাকি অংশও সংস্কারের জন্য প্রকল্পের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। শুরু হয়েছে আন্দোলনও।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে খানাকুল-২ ব্লকের ঘোড়াদহ গ্রামের চিত্তরঞ্জন বেরার অভিযোগ, “জলটা যদি রূপনারায়ণ নদে না ফেলা যায়, তা হলে এই প্রকল্পের সার্থকতা থাকবে না। উল্টে মহকুমার উপরের জল আটকে গিয়ে আরও বিধ্বস্ত হবে খানাকুলের দু’টি ব্লকের ২৪টি পঞ্চায়েত এলাকা।”
পরিকল্পনায় এই ত্রুটির কথা মানছেন জেলা সেচ দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, দ্রুত প্ল্যানটি সংশোধনের চেষ্টা হচ্ছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রকল্পের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা সেচ দফতর সূত্রে খবর, ওই প্রকল্পের প্রথম পর্যারে কাজের জন্য বরাদ্দ ৩৯ কোটি ৭৯ লক্ষ টাকায় আরামবাগের কানা দ্বারকেশ্বর থেকে শুরু করে কাটা খাল, কানা মুণ্ডেশ্বরী, মলয়পুর খাল, ভোমরা খাল এবং অরোরা খাল সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অরোরা খালের নির্দিষ্ট অংশের সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি খালগুলিতে কাজ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy