বন্ধ: গেটে ঝোলানো হয়েছে তালা। নিজস্ব চিত্র
আলু চাষে ক্ষতিপূরণ থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে—এই অভিযোগে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের পাড়াবাগনান সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে তালা মেরে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় চাষিরা। ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংলগ্ন আরামবাগ-গড়েরঘাট রাস্তায় অবরোধও করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গৌরহাটি-১ পঞ্চায়েত এলাকার ওই সমবায় সমিতিটি সকাল ৯টায় খোলার পরই গ্রামের কয়েকশো চাষি সেখানে জড়ো হন। তাঁদের অভিযোগ, ক্ষতিপূরণের টাকা এসে গেলেও চাষিদের সেটা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের নাম কেন তালিকাভুক্ত হয়নি সেই প্রশ্ন তুলে সমবায়ে তালা মেরে দেন। তালাবন্দি হয়ে থাকেন সমিতির ম্যানেজার স্বপন মাইতি-সহ কর্মীরা।
দুপুর আড়াইটে নাগাদ যুগ্ম বিডিও অয়ন রক্ষিত এবং ব্লক কৃষি আধিকারিক শুভম প্রামাণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে চাষিদের সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ ওঠে।
যুগ্ম বিডিও বলেন, “কৃষি বিমার টাকা না পাওয়ায় চাষিদের বিক্ষোভ ছিল। চাষিদের বক্তব্য লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে। কৃষি দফতর বিষয়টা দেখছে।” আর ব্লক কৃষি আধিকারিক বলেন, “বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” জেলা কৃষি আধিকারিক অশোক তরফদার বলেন, “বিমার কিছু টাকা ঢুকেছে। অনেক টাকা আসা বাকি। তাই চাষিদের টাকা বিলি শুরু হয়নি।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার (বাংলা ফসল বিমা যোজনা) ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে আলু চাষে ক্ষতির একপ্রস্থ বিমার টাকা হুগলি জেলার কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ব্লকের সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের শাখাগুলিতে পাঠানো হয়। মোট ৮৮ হাজার ২৮০ জন ক্ষতিগ্রস্ত চাষির জন্য পাঠানো হয়েছে ৫৭ কোটি ৩৬ লক্ষ ৬৮ হাজার ৩৮৪ টাকা। প্রথম দফায় আরামবাগ কো-অপারেটিভ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক শাখায় ৫৯৪৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত চাষির জন্য ক্ষতিপূরণ এসেছে ৪ কোটি ৫৬ লক্ষ ৭২ হাজার ৮৪৭ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy