প্রস্তুতি: আদিসপ্তগ্রামের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। ছবি: সুশান্ত সরকার
আজ, মঙ্গলবার রাজ্যে সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশিকা জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন (জেইই) এবং সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) শুরু হবে। করোনা আবহে একাধিক বার ওই পরীক্ষা পিছিয়েছে। কিন্তু আনলক-পর্বেও পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের শঙ্কা কাটল না। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে যাঁরা থাকেন, এবং অভাবি পরিবারের ছেলেমেয়েদের তাঁদের সমস্যা বেশি।
হুগলি জেলায় যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম রেল। কিন্তু লোকাল ট্রেন এখনও চালু হয়নি। সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পরীক্ষার্থীদের নির্ভর করতে হচ্ছে ভাড়ার গাড়ি অথবা বেসরকারি পরিবহণের উপরে। আদিসপ্তগ্রামে একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ওই পরীক্ষার আসন পড়েছে। অভিভাবকদের অনেকে জানিয়েছেন, একটি গাড়ি ভাড়া করে কয়েকজন পরীক্ষার্থী মিলে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাবেন বলে
ঠিক করেছে।
সূত্রের খবর, ওই কলেজে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে দূরত্ব-বিধি মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকেন, তার জন্য ফাঁক রেখে গোল দাগ কাটা হয়েছে। কলেজের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য আমাদের থেকে একটি হলঘর চাওয়া হয়েছে। পরীক্ষার নিয়ামক সংস্থাই জীবাণুনাশক ছড়ানো থেকে শুরু করে সব রকম ব্যবস্থা করবে।’’
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ওই কলেজে পরীক্ষার দিন পড়েছে গুপ্তিপাড়ার আর্যনগরের বাসিন্দা সায়ন দাসের। তাঁর পরিবার তেমন স্বচ্ছল নয়। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনো নিয়ে সায়ন চিন্তায় রয়েছেন। গুপ্তিপাড়া থেকে ট্রেনে বাঁশবেড়িয়ায় নেমে টোটোতে চেপে ওই কলেজে যাওয়া যায়। যাতায়াতে খরচ প্রায় ৪০ টাকা। সায়ন বলেন, ‘‘আমাদের এখান থেকে বাঁশবেড়িয়া পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা বলতে প্রায় কিছুই নেই। ফলে, গাড়ি ভাড়া করা ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু গাড়ি কত ভাড়া চাইবে, সেটাই চিন্তার বিষয়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘১৩ তারিখে মেডিক্যাল পরীক্ষা পড়েছে কোন্নগরে। সেখানে যাওয়ার কথা তো ভাবতেই পারছি না! অনেক টাকা ভাড়া লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy