কয়েক মাস আগেও ছিল পুকুরের অস্তিত্ব। নিজস্ব চিত্র
৩৯ শতক পুকুর বুজিয়ে ফেলা হয়েছিল পুরোটাই। এক সপ্তাহের মধ্যে সেই পুকুর ফের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য পুকুর মালিককে নির্দেশ দিল ব্লক প্রশাসন। ঘটনাটি ডোমজুড় ব্লকের শাঁখারিদহ মৌজার। বিডিও রাজা ভৌমিক বলেন, ‘‘মৎস্য আইন অনুযায়ী ওই পুকুরের মালিককে বলা হয়েছে আগামী সাত দিনের দিনের মধ্যে পুকুরটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে। আর সেটা যদি না হয়, তাহলে পুকুর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ মঙ্গলবারই পুকুর মালিকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাঁখারিদহ মৌজার ৩৯ শতক ওই পুকুরের দাগ নম্বর ৬৮৪। পুকুরের মালিক সিন্টু মণ্ডল থাকেন ওই এলাকাতেই। মাস তিনেক আগে পুকুরটি ছাই ফেলে ভরাট করতে শুরু করেন সিন্টু। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান। ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিডিও। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারপরও কাজ বন্ধ হয়নি। শুধু তাই নয়, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরও পদক্ষেপ করেনি।
ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের দাবি ছিল, ওই পুকুর জমি হিসেবেই নথিভুক্ত রয়েছে। ফলে তাদের পক্ষে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়। তাই বিডিও, ব্লক মৎস্য দফতরকে তদন্তের নির্দেশ দেন। গত ২৬ জুন মৎস্য দফতর তদন্ত করার জন্য ঘটনাস্থলে আসে। রিপোর্টে তারা জানিয়ে দেয়, পুকুরটি ১৫ ফুট গভীর ছিল। তাতে জল ছিল। এই পুকুরে মাছ চাষ করা সম্ভব। রিপোর্টে তারা আরও জানায়, পুকুরটি অবৈধভাবে ভরাট করা হয়েছে।
বোজানো হয়েছে সেই পুকুর। নিজস্ব চিত্র
বিডিওর কাছে এই রিপোর্ট জমা পড়ার পরে তিনি ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের তদন্ত রিপোর্টের সঙ্গে মৎস্য দফতরের তদন্ত রিপোর্টও জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়ে দেন। কয়েকদিন আগে জেলাশাসকের দফতর থেকে মৎস্য আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিডিওর সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। এই পুকুরের কাছেই রয়েছে বেসরকারি শিল্পতালুক। সেখানে আগুন লাগলে এই পুকুর থেকে জল নেয় দমকল। শাঁখারিদহ এবং বানিয়ারা এই দুটি গ্রামের জলনিকাশি হয় এই পুকুরের মাধ্যমে। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, পুকুরটি বুজে গেলে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহসিন মুফতি বলেন, ‘‘আরও পুকুর ভরাট হচ্ছে। আমরা অভিযোগ করেছি।’’ সিন্টু মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে তাঁর পরিজনরা জানান, নোটিস না হাতে পাওয়া পর্যন্ত তাঁরা কোনও মন্তব্য করবেন না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy