ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায়।
করোনা-কালে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ডানকুনি স্টেশনে। বিশেষ ট্রেনে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেছেন। আবার অফিসে বসে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার কথা শুনে সুরাহা করেছেন দক্ষতার সঙ্গে। চন্দননগরের মহকুমাশাসক দফতরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট দেবদত্তা রায় শেষ পর্যন্ত হেরে গিয়েছেন করোনার কাছে। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁকে যাতে ‘সেবা শহিদ’ ঘোষণার করা হয়, এই দাবিতে চন্দননগরের একটি সংগঠন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও।
‘আইন সহায়তা কেন্দ্র’ নামে চন্দননগরের বড়বাজারের ওই সংগঠনের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘চন্দননগরের ওই ডেপুটি-ম্যাজিস্ট্রেট করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থেকে লড়াই করেছেন। অত্যন্ত কর্মঠ ছিলেন। মানুষের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনে প্রতিকারের ব্যবস্থা করতেন। উনি আমাদের শহরের প্রথম ‘সেবা শহিদ’। সরকারের উচিত এই ধরনের কেউ করোনায় প্রয়াত হলে তাঁকে স্বীকৃতি দেওয়া। গোটা দেশেই এই ব্যবস্থা চালু করা উচিত।’’
সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, পুলিশ, চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রশাসনিক আধিকারিক বা কর্মীরা সামনের সারিতে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। রেল, ব্যাঙ্ককর্মী, পুরকর্মী, পঞ্চায়েতকর্মী-সহ বিভিন্ন দফতরের কর্মীরাও প্রতিকুল পরিস্থিতিতে মানুষকে পরিষেবা দিচ্ছেন। বিজ্ঞানী, গবেষকরাও নিরলস কাজ করে চলেছেন। এই কোভিড-যোদ্ধাদের মধ্যে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণেই। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য উভয় সরকারের উচিত, এই ধরনের কেউ করোনায় প্রয়াত হলে তাঁদের জীবনের প্রতি প্রকৃত সম্মান জানানো এবং পরিবারের দেখভাল করা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই সংগঠনের দাবি, এই ধরনের কোভিড যোদ্ধার মৃত্যু হলে তাঁকে ‘শহিদ’ ঘোষণা করা হোক। তাঁর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা সাম্মানিক দেওয়া হোক। তিনি যা বেতন পেতেন, সেই অঙ্কের টাকা পেনশন হিসেবে দেওয়া হোক। তাঁর পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হোক। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ওই সংস্থানের দাবি জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। এ দিন ই-মেল করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ওই দাবি জানানো হয়েছে। মুখ্যসচিবকেও ই-মেল করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy