Advertisement
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪
পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠি চালানোর অভিযোগ
Coronmavirus in West Bengal

খাবার না-পেয়ে অবরোধ শ্রমিকদের

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মানিকপিরে নয়াচক যদুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় তিনশো পরিযায়ী শ্রমিক আছেন।

থালা সাজিয়ে রেখে অবরোধ পরিযায়ী শ্রমিকদের। পাঁচলা থানার আমতা-রানিহাটি রাস্তায়। ছবি: সুব্রত জানা

থালা সাজিয়ে রেখে অবরোধ পরিযায়ী শ্রমিকদের। পাঁচলা থানার আমতা-রানিহাটি রাস্তায়। ছবি: সুব্রত জানা

 নিজস্ব সংবাদদাতা
আমতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০৬:৩৯
Share: Save:

স্কুলে নিভৃতবাস কেন্দ্রে খাবার মিলছে না—এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার পাঁচলার মানিকপির এলাকায় আমতা-রানিহাটি রাস্তা অবরোধ করলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। অভিযোগ, পুলিশ অবরোধকারীদের উপরে লাঠিচার্জ করে। তাতে তিন মহিলা-সহ ১০ জন আহত হন। লাঠি চালানোর অভিযোগ পুলিশ মানেনি।

প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মানিকপিরে নয়াচক যদুনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় তিনশো পরিযায়ী শ্রমিক আছেন। অনেকের পরিবারের লোকজনও রয়েছেন। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, প্রশাসন খাবার দিচ্ছে না। গরমে পর্যাপ্ত পানীয় জলও মিলছে না। এ দিন সকালে খাবার এবং জলের দাবিতে তাঁরা থালা হাতে শিবির থেকে বেরিয়ে আসেন। শুরু হয় অবরোধ। থালা বাজিয়ে বিক্ষোভ চলতে থাকে। অবরোধের জেরে বহু গাড়ি সার দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স। খবর পেয়ে ঘণ্টাখানেক বাদে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রাজু দলুই, সুজাতা বর, রাজেন্দ্র বর, বৈশাখী বর, বিক্রম বর প্রমুখের অভিযোগ, ‘‘পুলিশ বেধড়ক লাঠি চালিয়েছে। ভয়ে অনেকে শিবিরে ঢুকে পড়লে পুলিশ সেখানে গিয়েও মারে। মহিলাদেরও রেয়াত করা হয়নি।’’ তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের লাঠির ঘায়ে কয়েক জনের হাত-পা ফেটে রক্ত বের হতে থাকে। অনেকে ভয়ে রাস্তার ধারে নয়নজুলিতে লাফিয়ে পড়েন। পরে পুলিশ যন্ত্রণা কমানোর ওষুধ দিয়ে যায়। স্বর্ণলতা বর নামে এক মহিলার ক্ষোভ, ‘‘শিবিরে শিশুদের দুধ পর্যন্ত নেই। প্রশাসন খোঁজও নিচ্ছে না। পেটের জ্বালায় রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। পুলিশ ওই ভাবে মারবে, ভাবিনি।’’ রাজেন্দ্রর কথায়, ‘‘প্রশাসন স্রেফ ফেলে রেখেছে আমাদের। না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। সমস্যার কথা বারে বারে প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি।’’

পাঁচলার বিডিও এষা ঘোষ অভিযোগ মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ব্লকে ছেচল্লিশটি নিভৃতবাস কেন্দ্রই প্রতি দিন পরিদর্শন করা হয়। যাঁদের বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো অসুবিধা, প্রশাসনের তরফে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকের কাছে প্রশাসনের ফোন নম্বর দেওয়া আছে। বিডিও-র বক্তব্য, ‘‘সমস্যা হলে ওঁরা ফোন করে জানাতে পারতেন। তা না করে একসাথে রাস্তায় বেরিয়ে অবরোধ করে ওঁরা ঠিক করেননি। এতে সংক্রমণ বাড়তে পারে। পুলিশ ওঁদের নিভৃতবাসে ঢোকানোর চেষ্টা করেছে।’’ হাওড়ার (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায় বলেন, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ অবরোধকারীদের নিভৃতবাসে ঢোকানোর চেষ্টা করেছে। লাঠিচার্জ করা হয়নি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronmavirus in West Bengal Migrant Labourers Amta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy