Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
রেশন দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়
Coronavirus

গ্রাহককে কম চাল, সাসপেন্ড ২ ডিলার

জেলা খাদ্য দফতর জানিয়েছে, ওই দুই ডিলারের আওতায় থাকা গ্রাহকদের নাম আশপাশের রেশন দোকানে যুক্ত করা হচ্ছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০২০ ০৩:১২
Share: Save:

রেশনে বাড়তি চাল দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। প্রথম দিনেই গ্রাহকদের চাল কম দেওয়ার অভিযোগে পান্ডুয়া এবং খানাকুলের দুই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হল।

জেলা খাদ্য দফতর জানিয়েছে, ওই দুই ডিলারের আওতায় থাকা গ্রাহকদের নাম আশপাশের রেশন দোকানে যুক্ত করা হচ্ছে। তাঁরা সেখান থেকে খাদ্যশস্য তুলতে পারবেন। জেলা খাদ্য নিয়ামক অসীমকুমার নন্দী বলেন, “এ বার আর শোকজ় করা হবে না। অভিযোগ পাওয়ামাত্র সরাসরি সাসপেন্ড করা হচ্ছে। প্রতিটি রেশন দোকানে চার জন করে অফিসার নিয়োগ পালা করে তদারকি করছেন। এ ছাড়াও বিডিও, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং মহকুমাশাসকও পরিদর্শন করবেন।’’

লকডাউনে প্রথম দফায় এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে উপভোক্তাপিছু নিখরচায় ২ কেজি করে চাল, ২ কেজি ৮৫০ গ্রাম আটা বা তিন কেজি করে গম দেওয়া হচ্ছিল। প্রথম দফায় মাল কম দেওয়ার অভিযোগে পান্ডুয়া এবং পোলবায় দুই রেশন ডিলারকে সাসপেন্ড করা হয়। শোকজ় করা হয় ১৫ জনকে।

এ বার দ্বিতীয় দফায় চালের পরিমাণ বাড়িয়ে মাসে পাঁচ কেজি করে করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে পান্ডুয়ার রানাগড়ের রেশন ডিলার শেখ সামশের আলির বিরুদ্ধে চাল কম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চম্পা হাজরা কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। গ্রাহকদের অভিযোগ যাচাই করতে খবর দেওয়া হয় পুলিশ এবং বিডিও স্বাতী চক্রবর্তীকে। অভিযোগের সত্যতা মেলায় ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করেন বিডিও। অভিযোগ মেনে নিয়ে সামশের বলেন, “ভুল করে ফেলেছি।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘আমরা চাই দুনীতিগ্রস্ত রেশন ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল হোক।”

একই অভিযোগে সাসপেন্ড হন খানাকুল-১ ব্লকের হেলানের রেশন ডিলার স্বপন চক্রবর্তী। তিনিও জনাপাঁচেক গ্রাহককে চাল কম দেওয়ার কথা মেনে নিয়ে দাবি করেন, ‘‘একসঙ্গে বেশি গ্রাহকের চাল ওজন করতে গিয়েই ত্রুটি হয়েছে। সেই কম মাল ফের দিয়েও দিয়েছি।’’

বস্তুত, এই বাড়তি চাল দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন দুই জেলার বহু ডিলারই। শনিবার ভোর থেকে দলে দলে গ্রাহক লাইন দেন হাওড়ার বিভিন্ন রেশন দোকানে। চাল নিয়ে যাওয়ার কেউ আনেন সাইকেল, কারও সঙ্গী টোটো বা ভ্যানরিকশা। অনেক জায়গাতেই দোকানের সামনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মোতায়েন ছিল সিভিক ভলান্টিয়ার।

বাগনানের খাদিনান গ্রামের রেশন ডিলার সমর গুছাইত বললেন, ‘‘লাইন পড়লেও সমস্যা হয়নি। গ্রাহকদের স্লিপ দেওয়া হয়েছে। সেই স্লিপ দেখিয়ে গুদাম থেকে তাঁরা চাল নিচ্ছেন।’’

হুগলির পান্ডুয়ার মেলাতলা, সরাই-সহ বেশ কিছু রেশন দোকানের সামনে দুরত্ব বজায় রাখতে চেয়ার পাতা হয়েছিল। ডিলাররা জানান, বয়স্ক গ্রাহকদের জন্যই এই ব্যবস্থা। বৈদ্যবাটী পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের উদ্যোগে বয়স্কদের জন্য টোটোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আরামবাগের কিছু রেশন দোকানের গ্রাহকেরা হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। শ্রীরামপুরের কিছু দোকানে শারীরিক বিধি মানার বালাই ছিল না বলে অভিযোগ।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy