Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Howrah

রোগী সামান্য, হাওড়ায় বন্ধ হতে চলেছে সাতটি সেফ হোম

গত কয়েক মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ সেফ হোমেই রোগী কমে আসছে।

রোগীর অভাবে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের এই সেফ হোমই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফাইল চিত্র।

রোগীর অভাবে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের এই সেফ হোমই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফাইল চিত্র।

দেবাশিস দাশ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২০ ০৩:০৯
Share: Save:

কোভিড রোগী প্রায় নেই বললেই চলে। তাই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম-সহ মোট সাতটি সেফ হোম। হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের বক্তব্য, ওই সেফ হোমগুলিতে উপসর্গযুক্ত এবং কোমর্বিডিটিহীন রোগীদেরই রাখা হচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসে সেফ হোমগুলিতে রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। যেমন, ডুমুরজলায় বর্তমানে রোগীর সংখ্যা কমে চারে এসে পৌঁছেছে। তাই ঠিক হয়েছে, জেলার যে মোট ১০টি সেফ হোম আছে, তার মধ্যে সাতটি বন্ধ করে দেওয়া হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। চালু থাকবে তিনটি। সেগুলি সবই গ্রামীণ এলাকায়। বন্ধ হতে চলা সেফ হোমগুলির রোগীদের টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হবে।

গত মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে হাওড়ায় কোভিড রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় উপসর্গযুক্ত রোগীদের রাখার জন্য জেলায় প্রথম ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামকে বেছে নেওয়া হয়েছিল সেফ হোম তৈরির জন্য। পরবর্তীকালে হাওড়া জেলার আরও ন’টি জায়গায় সেফ হোম তৈরি করা হয়। ডুমুরজলায় n রোগীর অভাবে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের এই সেফ হোমই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। ফাইল চিত্র

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক পদস্থ কর্তা জানান, কোভিডের উপসর্গযুক্ত যে সব রোগীর বাড়িতে থাকার অসুবিধা আছে, তাঁদের জন্যই ওই সেফ হোম তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ সেফ হোমেই রোগী কমে আসছে। অন্য দিকে, টিএল জয়সওয়াল হাসপাতালে ১৮০টি শয্যার মধ্যে মাত্র ১০-১২টি শয্যায় রোগীরা রয়েছেন। পুরোটাই প্রায় ফাঁকা পড়ে রয়েছে। ডুমুরজলা স্টেডিয়াম-সহ আরও কয়েকটি বেসরকারি জায়গায় তৈরি হওয়া সেফ হোমগুলির জন্য প্রচুর টাকা ভাড়া গুনতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে নানা রকম রক্ষণাবেক্ষণের খরচ। তাই সাতটি সেফ হোম ৩০ নভেম্বরের পরে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ওই পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘যে সব রোগীর বাড়িতে জায়গা নেই, তাঁদের ডুমুরজলা স্টেডিয়াম-সহ আরও ন’টি সেফ হোমে রাখা হচ্ছিল। যাঁদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য রোগের উপসর্গ রয়েছে বা যাঁদের ভেন্টিলেশনের প্রয়োজন, তাঁদের ভর্তি করা হচ্ছে কোভিড হাসপাতালে। তবে সেফ হোমে রাখার মতো রোগী এখন খুব কম। হাসপাতালেও শয্যা ফাঁকা পড়ে আছে। তাই সেফ হোমগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’’

কিন্তু সর্বত্রই তো কোভিড ফের বাড়ছে। সে ক্ষেত্রে সেফ হোম তুলে দেওয়া কি ঠিক হচ্ছে?

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ওই কর্তা বলেন, ‘‘কোভিড গত কয়েক দিনে পাঁচ থেকে দশ শতাংশ বেড়েছে। মৃত্যু হচ্ছে শতকরা ২.৮ ভাগের। কোভিড সে ভাবে বাড়লে হাওড়ার আটটি কোভিড হাসপাতালের মাত্র ৩৫ শতাংশ শয্যা ভর্তি থাকত না।’’ ওই কর্তা জানান, ফের যদি কোভিড সংক্রমণ খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন পরিস্থিতি বুঝে কয়েকটি সেফ হোম আবার চালু করা হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

Howrah Safe home Coronavirus in West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy