অসন্তোষ: হাসপাতালে বিক্ষোভ জানাচ্ছেন নার্সরা। ছবি: সুব্রত জানা
করোনা মোকাবিলায় জরুরি পরিষবা দিতে আরামবাগ মহকুমায় চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ১৯৯ জনের থাকার ব্যবস্থা করল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। মহকুমার বিভিন্ন স্তরের স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন এলাকাগুলিতেই তাঁরা রাতে থাকবেন। ওইসব চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে পরিবহণ দফতর থেকে সর্বক্ষণ বাসও মজুত রাখা হচ্ছে।
বুধবারই জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে ওই ব্যবস্থাপনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মহকুমা এবং ব্লক স্বাস্থ্য দফতরগুলিকে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলায় করোনা মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’
আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল এবং একই চত্বরে থাকা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে পরিষেবার জন্য চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৯০ জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে শহরের তিনটি লজে। আরামবাগের দক্ষিণ নারায়ণপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আট জন থাকবেন। পুরশুড়ার শ্রীরামপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরের ফ্লাড শেল্টারেও আট জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। কামারপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালকে কেন্দ্র করে ১৭ জনের জায়গা হয়েছে স্থানীয় লাহাবাজারের একটি লজে। গোগাট-১ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র সংলগ্ন ভিকদাস পাওয়ার স্টেশন অতিথিশালায় থাকবেন ছ’জন। খানাকুলের নতিবপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আওতায় থাকা এলাকায় পরিষেবার জন্য ৩০ জনকে রাখা হচ্ছে রাজহাটির একটি লজে। আর খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতাল এবং ওই এলাকার জন্য ৪০ জনের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে সেখানকারই একটি লজে। চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্রুত যাতায়াতের জন্য জেলার যে হাসপাতালগুলিতে সর্বক্ষণের বাসের ব্যবস্থা হয়েছে, সেগুলি হল— চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল, আরামবাগ মহকুমা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল, শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল এবং উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy