বুধবার তারকেশ্বর মন্দিরে মাস্ক পরে পুজো দিলেন অনেক দর্শনার্থী ছবি: সুশান্ত সরকার ও দীপঙ্কর দে
দেরিতে হলেও হুঁশ ফিরল তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের। করোনাভাইরাস আটকাতে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে আগামী চার সপ্তাহ বন্ধ থাকছে এই শৈবতীর্থের দরজা।
বুধবার দুপুরে তারকেশ্বর রাজবাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে দণ্ডীস্বামী সুরেশ্বর আশ্রম মোহন্ত মহারাজ বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত মন্দিরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তী নির্দেশিকা এলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিত্যদিনের পুজোপাঠ চলবে।’’
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠ, তারাপীঠ-সহ বিভিন্ন মন্দিরে পুণ্যার্থীর প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কিন্তু, তারকেশ্বর মন্দিরের দ্বার পুণ্যার্থীদের জন্য খোলা থাকায় নানা মহলে প্রশ্ন উঠছিল। পুরোহিত এবং দোকানদারদের একাংশ এই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছিলেন। বুধবারেও মন্দির খোলা ছিল। যদিও ভিড় ছিল কম। তামিলনাড়ু এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে বেশ কয়েক জন ভক্ত এসেছিলেন। তাঁরা মাস্ক পরে পুজো দেন।
মন্দির কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, মোহন্ত মহারাজ ঝাড়খণ্ডে থাকায় মন্দির বন্ধ রাখা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার মোহন্ত মহারাজ জরুরি ভিত্তিতে তারকেশ্বরে ফেরেন। রাতের বৈঠকে মোহন্ত মহারাজ ছাড়াও তারকেশ্বর পুরোহিতমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্দির বন্ধ রাখার ঘোষণায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে ভিন্ন সুর শোনা গিয়েছে। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা পি বি আচারি এ দিন পুজো দিতে এসেছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘মন্দির বন্ধ করে লাভ নেই। বিলেত ঘুরে আসা নাগরিকদের সঠিক চিকিৎসা করে তবেই দেশে ফেরানো উচিত।’’ দমদম থেকে পুজো দিতে আসা সুনন্দা সাহা অবশ্য বলেন, ‘‘পুণ্যার্থীদের আসা বন্ধ করে মন্দির কর্তৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।’’ পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসানের প্রসঙ্গে পুরোহিতমণ্ডলীর সভাপতি খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগে মানুষের জীবন। তারপরে অর্থ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy