নিজস্ব চিত্র।
হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন প্রায় ৫০০ জন চুক্তি ভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্মী। তাঁদের অভিযোগ, নামেই তাঁরা কোভিড যোদ্ধা, কিন্তু পিপিই কিট, পর্যাপ্ত মাস্ক বা স্যানিটাইজার কোনও কিছুই জোটে না। তাই কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
কেন্দ্রীয় সরকারের ন্যাশনাল হেলথ মিশন প্রকল্পের অধীনে হাওড়া জেলায় কাজ করছেন প্রায় এক হাজার জন চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্য কর্মী। গোটা রাজ্যে তাঁদের সংখ্যা প্রায় কুড়ি হাজার। করোনা আবহের মধ্যেই প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েক জন স্বাস্থ্য কর্মীর মৃত্যুও হয়েছে। তবু হুঁশ ফেরেনি প্রশাসনের, এমনটাই অভিযোগ ওই স্বাস্থ্যকর্মীদের।
এ প্রসঙ্গে চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠনের সম্পাদক অনন্যা বেরা জানান, তাঁরা ন্যাশনাল হেলথ মিশনের অধীনে চুক্তিভিত্তিক চাকরি করেন। কোভিড অতিমারির সময়েও তাঁরা সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। করোনা আবহে বাড়ি বাড়ি গিয়েও তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনকে বারংবার জানানো সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ অনন্যার।
অনন্যার আরও অভিযোগ, তাঁদের চাকরির স্থায়ীকরণ করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্থায়ী কর্মীদের সমপরিমাণ কাজ করা সত্ত্বেও এক তৃতীয়াংশ বেতন পাচ্ছেন। পাশাপাশি, অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত তাঁরা। কর্ম ক্ষেত্রের এই বৈষম্য দূর করার জন্যই তারা এই আন্দোলন বলে জানান অনন্যা। পাঁচলা ব্লকের স্বাস্থ্যকর্মী সোমা মারিকেরও একই অভিযোগ।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস বলেন, “চুক্তিভিত্তিক স্বাস্থ্যকর্মীদের যে দাবি তা যুক্তিসঙ্গত। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কথা বলেছেন।বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy