Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

টুকরো খবর

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল মঙ্গলবার। এ দিন মদন হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পাড়ার মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের আত্মীয়-স্বজনেরা একজোট হয়ে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে পরিবারটিকে।

শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৪৫
Share: Save:

ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হেনস্থায় মূল অভিযুক্ত ধরা পড়ল মঙ্গলবার। এ দিন মদন হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পাড়ার মহিলারা বিক্ষোভ দেখান। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তের আত্মীয়-স্বজনেরা একজোট হয়ে রীতিমতো হুমকি দিচ্ছে পরিবারটিকে। পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে লালবাটি এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবার জানিয়েছে, গত রবিবার মদন সাঁতরা যৌন হেনস্থা করতে গেলে মেয়ে চিত্‌কারে করে ওঠে। পালিয়ে যায় ওই ব্যক্তি। সোমবার ডায়মন্ড হারবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এ দিন মেয়েটির বাবা বলেন, “আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়েই বিপদে পড়ে গেলাম বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির পরিবার থেকে আমাকে নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দোকানও জ্বালিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে। গতকাল থেকে হাসপাতালে ফেলে রাখার ২৪ ঘণ্টা পরে আমার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে।” ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালের সুপার অবশ্য ডাক্তারি পরীক্ষায় দেরি হওয়ার কারণ হিসাবে জানান, পুলিশের তরফ থেকে দেরিতে রিক্যুইজিশন আসায় কিছুটা দেরি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, রিক্যুইজিশন আগেই পাঠানো হয়েছিল। ওই মেয়েটির পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্বে থাকা চিকিত্‌সক সকাল থেকে অন্য দু’টি অস্ত্রোপচারে ব্যস্ত থাকায় কিছুটা দেরি হয়েছে। ডায়মন্ড হারবার থানা সূত্রে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, মেয়েটির পরিবারকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারি রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পুড়শুড়ার স্কুলে চালু মিড-ডে মিল
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুড়শুড়া

নানা টানাপড়েনের পরে অবশেষে সোমবার থেকে পুরশুড়ার সোঁয়ালুক আজাদ হাইস্কুলে চালু হল মিড-ডে মিল। এ দিন পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৩৫০ জন ছাত্রছাত্রীকে খিচুড়ি, আলু-কপির তরকারি এবং বিভিন্ন সব্জি দেওয়া হয়। প্রথম বার স্কুল থেকে খাবার পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছাত্রছাত্রীরাও। এ দিন স্কুলে মিড-ডে মিল পরিবেশনের সময়ে উপস্থিত ছিলেন বিডিও অনির্বাণ রায়। তিনি বলেন, “স্কুলটিতে মিড-ডে মিল চালু নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। সেটা কাটল।” স্কুলের প্রধান শিক্ষক উপল পণ্ডিত বলেন, “আমাদের অনেক অসুবিধা সত্ত্বেও বিডিওকে দেওয়া কথা রাখতে পেরেছি। রান্নাঘরের পরিকাঠামো নিয়ে যে অসুবিধা ছিল, তা নিজেরা খরচ করে এবং পঞ্চায়েতের সহযোগিতা নিয়ে কিছুটা কাটানো গিয়েছে।”পুড়শুড়ায় প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত মোট ১৪৩টি স্কুলের মধ্যে একমাত্র সোঁয়ালুক আজাদ হাইস্কুলেই দীর্ঘদিন ধরে মিড-ডে মিল চালু হচ্ছিল না। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, প্রশাসনের নির্দেশ এবং সব রকম সহযোগিতা সত্ত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই রান্না করা খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীরা। মাসখানেক আগে অভিভাবকেরা এ নিয়ে বিডিও-র কাছে গণস্বাক্ষর সংবলিত চিঠি দেন। তাতে দ্রুত মিড-ডে মিল চালুর দাবিও জানানো হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ প্রথম থেকেই রান্নাঘরের পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে বলে দাবি করছিলেন। গত ১১ নভেম্বর স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বিডিও জানিয়ে দেন, মিড-ডে মিল চালু করা নিয়ে কোনও অজুহাত শোনা হবে না। তিনি মিড-ডে মিল চালুর দিনও ধার্য করে দেন ১ ডিসেম্বর। এর পরেই উদ্যোগী হন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

যুবক খুন, পাঁচ পড়শি অভিযুক্ত
নিজস্ব সংবাদদাতা • গোঘাট

একটি জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে এক যুবককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর পাঁচ পড়শির বিরুদ্ধে। গোঘাটের শ্যাওড়া গ্রামের বাসিন্দা, কার্তিক সাঁতরা (৩২) নামে ওই যুবক রবিবার রাত ৮টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি। সোমবার দুপুরে পাশের নকুণ্ডা গ্রামের আমোদর খালের পাড় থেকে তাঁর দেহ মেলে। এর পরেই পুলিশের কাছে ওই অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী ছায়া। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় দেহটি মিলেছে। তা ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আলু চাষের জমিতে সার দেওয়ার জন্য রবিবার রাতে একটি ট্রাক্টরের ব্যবস্থা করে বেরিয়ে যান কার্তিক। তার পরে আর ফেরেননি। রাতে নানা জায়গায় তাঁর খোঁজ করেও ব্যর্থ হন পরিবারের লোকেরা। সোমবার দুপুরে স্বামীর নামে নিখোঁজ ডায়েরি করতে থানায় গিয়ে তাঁর দেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন ছায়া। দেহটি পুলিশ আগেই উদ্ধার করেছিল। ছায়া বলেন, “জমির সীমানা নিয়ে কয়েক জন প্রতিবেশীর সঙ্গে মাস খানেক ধরে স্বামীর গোলমাল হচ্ছিল। ওরা কয়েক বার স্বামীকে মেরেওছিল। এ বার মনে হয় ওরাই খুন করল।”

হাওড়ায় খাটাল উচ্ছেদ শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

অবশেষে শুরু হল খাটাল উচ্ছেদ অভিযান। পুর-এলাকায় খাটাল থাকার কথা নয়, তবুও হাওড়ার অলিগলিতে তা গজিয়ে উঠেছিল। ক্ষমতায় আসার প্রায় এক বছর পর মঙ্গলবার সেগুলি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করল তৃণমূল পুরবোর্ড। পুরসভা সূত্রে খবর, খাটাল উচ্ছেদ নিয়ে ১০ নভেম্বর মেয়র রথীন চক্রবর্তীর ঘরে কাউন্সিলরদের বৈঠক হয়। তাঁদের এলাকার খাটালের সংখ্যা জানাতে বলা হয়। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) শ্যামল মিত্র জানান, ছোট বড় মিলিয়ে শহরে প্রায় ৪০০ খাটাল চলছে। যার বেশির ভাগই উত্তর হাওড়ায়। ১৩-১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে। শ্যামলবাবু জানান, বর্ষায় হাওড়ায় জল জমার কারণ বেহাল নিকাশি। খাটালের বর্জ্য নর্দমায় পড়ায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়ছে। পুরসভা সূত্রে খবর, হাওড়া সিটি পুলিশকে নিয়ে এ দিন অভিযান শুরু হয় জিটি রোডের পাশে দমকল দফতরের পিছনে সরকারি জমিতে। নোটিস পেয়ে ব্যবসায়ীরা আগেই খাটাল ফাঁকা করে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার পুরকর্মীরা তা ভেঙে দেন।

স্বামীর অপমৃত্যু, আটক স্ত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাগনান

স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্ত্রীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের হাটুরিয়া-নপাড়া গ্রামে। মৃতের নাম সেখ আসরাফ আলি (৪২)। পুলিশ জানায়, এ দিন সকালে ভ্যানরিকশা চালক আশরাফের সঙ্গে স্ত্রী সাফুরান বিবির বিবাদ বাধে। একটি মাফলার নিয়ে আশরাফ স্ত্রীর গলায় জড়িয়ে ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করেন। স্ত্রী মাফলারটি স্বামীর হাত থেকে কেড়ে নেন। তারপরে তা স্বামীর গলায় জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে দেন। এর পরেই আসরফকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। আশরাফের মা তহমিনাবিবির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সাফুরানবিবিকে আটক করেছে।

স্মরণ

ছবি: দীপঙ্কর দে।

আট বছর আগে এই দিনে সিঙ্গুরে আন্দোলনরত কৃষক, খেতমজুর ও বর্গাদারদের উপর পুলিশি অত্যাচার স্মরণে মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর সভা-মিছিল করল সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা কমিটি। খাসেরভেড়িতে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা সিঙ্গুর কৃষিজমি রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বেচারাম মান্না, রাজ্যের পরিষদীয় সচিব তপন দাশগুপ্ত প্রমুখ। বেচারামবাবু বলেন, ‘‘অণ্ডাল কৃষিজমি রক্ষা কমিটি বলছে সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিরা নাকি তাঁদের সঙ্গে সামিল হয়েছেন। এমন দাবি ভিত্তিহীন, অবাস্তব। সিঙ্গুরের জমি তিন এবং চার ফসলী। এখানকার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটই আলাদা। সিঙ্গুরের সঙ্গে অণ্ডালের তুলনা চলে না।’’ অনিচ্ছুক চাষিদের উদ্দেশে তাঁর আশ্বাস, ‘‘জমি আপনারা ফেরত পাবেনই।” পরে যোগ করেন, ‘‘আমরা আদালতের রায়ের অপেক্ষায় রয়েছি, আশা করছি আদালতে সুবিচার মিলবে।”

কুয়াশায় ঢেকেছে চারপাশ। চন্দননগর স্ট্র্যান্ডে মঙ্গলবার ভোরে তাপস ঘোষের তোলা ছবি।

অন্য বিষয়গুলি:

southbengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy