আন্দামানের কাছে বঙ্গোপসাগর থেকে ছ’হাজার কেজির নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। —ফাইল চিত্র।
আন্দামানে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ছ’হাজার কেজি নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। এত বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধারের ঘটনা বঙ্গোপসাগরে এর আগে কখনও ঘটেনি বলে দাবি আধিকারিকদের। একে বড় সাফল্য হিসাবেই দেখা হচ্ছে। ওই ট্রলার থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সকলেই মায়ানমারের নাগরিক। ভারত এবং উপকূলবর্তী অন্য কয়েকটি দেশের উদ্দেশে মাদকবাহী ট্রলারটি আসছিল, মনে করছেন আধিকারিকেরা।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক প্রতিরক্ষা আধিকারিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ট্রলারের ভিতরে ছোট ছোট প্যাকেটে মাদক রাখা ছিল। এই ধরনের তিন হাজার প্যাকেট মিলেছে। প্রতি প্যাকেটে অন্তত দু’কেজি করে মাদক ভরা ছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে ‘মেথাফেটামাইন’ নামের ওই মাদকের আনুমানিক দর কয়েক কোটি টাকা। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে এই মাদক উদ্ধার করা হয়েছে, জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা আধিকারিক।
সূত্রের খবর, গত ২৩ নভেম্বর উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমান থেকে সাগরের উপর টহলদারির সময়ে ট্রলারটি দেখতে পেয়েছিলেন পাইলট। ট্রলারের গতিবিধি তাঁর সন্দেহজনক বলে মনে হয়েছিল। আন্দামানের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে ঘুরছিল ট্রলারটি। তাকে সতর্ক করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ট্রলারের গতি কমাতে বলা হয়। সতর্ক করে দেওয়া হয় স্থলভাগের আধিকারিকদেরও। তার পরে ব্যারেন দ্বীপের কাছে গিয়ে ওই ট্রলারটিকে আটক করে তল্লাশি চালায় বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় মায়ানমারের নাগরিকদের।
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তারা যৌথ ভাবে এই মাদক উদ্ধারের তদন্ত করবে। জলপথে মাদক পাচারের অভিযোগ অনেক পুরনো। বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে যে নৌকা বা জাহাজ নামে, সেগুলিকে ব্যবহার করে মাদক পাচার করা হয় বলে অভিযোগ। এই চক্র দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয়। ২০১৯ এবং ২০২২ সালেও বিদেশি ট্রলার থেকে মাদক উদ্ধার করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy