কুয়োয় মধ্যে নেমে গ্যাসে মৃত্যু প্রৌঢ়ের
নিজস্ব সংবাদদাতা • বলাগড়
ছেলেকে নিয়ে কুয়োতে বর্জ্য পরিষ্কার করতে নেমে বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তাঁর ছেলেকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গুপ্তিপাড়ার টেংরিপাড়ায়। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম নারায়ণ বারিক (৪৭)। বাড়ি গুপ্তিপাড়ার রাজবংশীপাড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, টেংরিপাড়ায় একটি বাড়িতে সস্ তৈরি হয়। তার বর্জ্য ফেলা হয় বাড়ির পিছনে একটি পরিত্যক্ত কুয়োতে। মাস দু’য়েক অন্তর নারায়ণবাবুরা কুয়ো পরিষ্কারের কাজ করতেন। দু’মাস অন্তর তাঁরা ওই কুয়ো পরিষ্কার করতেন। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ তাঁরা কাজ শুরু করার কিছুক্ষণ পরে উপরে উঠে আসেন। পরে নারায়ণবাবু ফের নামেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানান, কুয়োর ভিতরেই নারায়ণবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। তা দেখে তাঁর ছেলে নাড়ুগোপালও নামেন। তাঁরও একই অবস্থা হয়। স্থানীয় বাসন্দারা কোনও রকমে তাঁদের উপরে তুলে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই নারায়ণবাবু মারা যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেলেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারী এক অফিসার বলেন, “ওই বর্জ্যে কটূ গন্ধ হত। বিষাক্ত গ্যাস থেকেই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কোন গ্যাসে ওঁরা অসুস্থ হন জানার চেষ্টা চলছে। বাড়ির মালিককে কুয়োয় বর্জ্য ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে।”
বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষে আহত ১০
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
এলাকার এক দুঃস্থ বিধবার ইন্দিরা আবাস যোজনার টাকা না মেলাকে কেন্দ্র করে দিন কয়েক ধরেই বিজেপি ও তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের চাপান-উতোর চলছিল আরামবাগের চাঁদচক গ্রামে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এর জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। লাঠির আঘাতে জখম হন দু’পক্ষের অন্তত ১০ জন। ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। তবে, কোনও পক্ষই সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়নি। আরামবাগের ব্লক তৃণমূল সভাপতি স্বপন নন্দীর দাবি, “ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। দু’টি পরিবারে গোলামাল নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।” বিজেপি-র আরামবাগ জেলা সম্পাদক অসিত কুণ্ডু বলেন, “চাঁদচকে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের লাগাতার মারধর করছিল, হুমকি দিচ্ছিল। তারই প্রতিবাদ হয়েছে।” যে মহিলার ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পের টাকা না মেলা নিয়ে বিবাদ, সে বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পৌঁছয়নি বলে জানিয়েছেন আরামবাগ বিডিও প্রণব সাঙ্গুই।
দু’জন পথচারীকে গাড়ির ধাক্কা, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • উলুবেড়িয়া
নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুই পথচারীকে ধাক্কা মারা এবং বেআইনি ভাবে গাড়িতে ‘পুলিশ’ লেখা বোর্ড লাগানোয় গ্রেফতার হলেন একটি বেসরকারি কারখানার অধিকর্তা। বুধবার রাতে উলুবেড়িয়ার নতিবপুর এলাকার মুম্বই রোড থেকে সোমনাথ মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমনাথবাবু উলুবেড়িয়া শহরেরই বাসিন্দা। তিনি বীরশিবপুরের লোহার জিনিসপত্র তৈরির কারখানার অধিকর্তা। বুধবার রাত ১০টা নাগাদ সোমনাথবাবু কারখানা থেকে গাড়ি চালিয়ে উলুবেড়িয়া যাচ্ছিলেন। তাঁর গাড়িতে ‘পুলিশ’ বোর্ড ছিল। নতিবপুরের জেলেপাড়ার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিনি দুই পথচারীকে ধাক্কা মারেন। নিজেকে বাঁচাতে সোমনাথবাবু ‘পুলিশ’ লেখা বোর্ড দেখান এবং নিজেকে জেলা পুলিশের এক কর্তা বলে দাবি করেন। সন্দেহ হওয়ায় বাসিন্দারা থানায় খবর দেন।
বধূর দেহ উদ্ধার, স্বামী-সহ ধৃত চার
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ
অসুস্থ মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার আরামবাগের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ পল্লির বাসিন্দা ঝর্না ঘোষ (৩৪) নামে ওই মহিলার মৃতদেহ তাঁর ঘর থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। ঝর্নার বাপের বাড়ির অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হয় তাঁর স্বামী দেবপ্রসাদ ঘোষ, শ্বশুর দিলীপবাবু, শাশুড়ি ভারতীদেবী এবং ননদ বনানী পাঁজাকে। বছর দশেক আগে দেবপ্রসাদের সঙ্গে ঝর্নার বিয়ে হয়। তাঁদের সাত বছরের ছেলের জন্মদিন ছিল এ দিন। ঝর্না কয়েক বছর ধরে কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। এ দিন সকালে ছেলের পড়ার ঘরেই তাঁকে মৃত অবস্থায় দেখা যায়।
এবার আসছে কালীপুজো। উলুবেড়িয়ায় চলছে তারই প্রস্তুতি।
বাগনানে বাজি বানাতে ব্যস্ত কারিগর। ছবি দু’টি তুলেছেন সুব্রত জানা।
মাছের খোঁজে, শ্রীরামপুরের গঙ্গায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy