নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন
নিজস্ব সংবাদদাতা • খানাকুল
বিয়ের অনুষ্ঠানের আগেই গ্রামে গিয়ে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল প্রশাসন। শনিবার রাতে খানাকুলের নন্দনপুর গ্রামের ঘটনা। ওই নাবালিকার বাবা ও মা ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকাও দিয়েছেন খানাকুল-২ এর বিডিওর কাছে। যুগ্ম বিডিও বলেন, “নাবালিকার বাবা-মাকে বোঝানো হয়েছে কেন বিয়ে আটকানো হল। নিজেদের অজ্ঞতা স্বীকার করে তাঁরাই পাত্রপক্ষকে খবর দিয়ে রাস্তা থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে বলে ওই গ্রাম থেকে প্রশাসন এবং থানায় খবর যায় রাত ৯টা নাগাদ। যুগ্ম বিডিও রাত ১০টা নাগাদ পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। পুলিশ দেখেই ছন্দপতন ঘটে বিয়ের বাড়ির উৎসবে। নাবালিকার বাবা জানান, মেয়ে মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এক দুধ ব্যবসায়ী পাত্রও পেয়ে গেলাম। ভাবলাম বিয়েটা দিয়ে দিই। নাবালিকা নিয়ে আমাদের এত কিছু জানা ছিল না। অনেক টাকা খরচ হয়ে গেলেও পাত্রপক্ষ বিষয়টা বুঝেছে। মেয়ের বয়স আঠারো হলেই বিয়েটা হবে।
কুয়ো খুঁড়ে বিতর্কে হাওড়ার হোটেল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
সরকারি জমিতে পাতকুয়ো খোঁড়ার অভিযোগ উঠেছিল একটি হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রবিবার স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে সেই পাতকুয়ো বুজিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকার হরিমোহন ঘোষ রোডে। গত বছর ২২ জুন ওই হোটেলটির তৎকালীন মালিক সুমিত নাহার ফোনে তোলাবাজদের হুমকি আসে। এর পরেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সুমিতবাবু। তাঁর মা মঞ্জুদেবী এ দিন অভিযোগ করেন, তাঁরা পুরসভার জল পাচ্ছিলেন না। তাই সরকারি জমিতে কুয়ো খুঁড়ছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিলর লক্ষ্মী সাহানি বলেন, সরকারি জায়গায় পাতকুয়ো খোঁড়া হয়েছিল। নোটিস পাঠিয়ে তা বোজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
বধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, গ্রেফতার স্বামী, দুই ননদ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড়
এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তাঁর বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী ও দুই ননদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের বাঁকড়া সুভাষপল্লিতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার রাতে পিঙ্কি দলুই (২৩) নামে ওই গৃহবধূকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রবিবার দুপুরে তিনি মারা যান। পিঙ্কিদেবীর দাদা, পল্টু দলুই জানান, ২০০৯ সালে বোন প্রেম করে বিয়ে করেছিল। তাই তাঁরা কোনও যৌতুক দেননি। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই জামাই বেচুরাম-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবি জানান। কিন্তু আথির্ক অবস্থা ভাল না হওয়ায় তাঁরা দাবি মেটাতে পারেননি। এর পর থেকেই বোনের উপরে অত্যাচার শুরু হয়। ক্রমশ তা বাড়ছিল। বাপের বাড়ির লোকের অভিযোগ, পিঙ্কিকে মেরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দম্পতির বছর চারকের একটি ছেলেও রয়েছে।
তৃণমূলের মিছিল
চবিবশ ঘণ্টা আগেই পাশের হরিপালে সভা করেছিল বিজেপি। রবিবার বিরোধীদের ‘অপপ্রচার’ এবং ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দেওয়া-সহ কেন্দ্রের নানা সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিঙ্গুরের বারুইপাড়া বাজার থেকে বড়া-হাওয়াখানা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও তাঁর স্ত্রী তথা হুগলি জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী করবী মান্না। মিছিল শেষে সভাও হয়। মন্ত্রী বলেন, “কেজরীবাল যেমন ভাবে ঝাড়ু দিয়ে দিল্লিতে বিজেপিকে সাফ করেছেন, সে রকমই রাজ্যের মা-বোনেরা দিল্লি থেকে কেন্দ্র সরকারকে ঝাড়ু দিয়ে সাফ করে দেবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy