হুগলি জেলা সম্মেলন
প্রকাশ্য সমাবেশ হল না, ক্ষোভ সিপিএমের অন্দরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • চন্দননগর
প্রকাশ্য সমাবেশ ছাড়াই শেষ হল সিপিএমের বাইশ তম হুগলি জেলা সম্মেলন। মঙ্গলবার এবং বুধবার চন্দননগর রবীন্দ্রভবনে ওই সম্মেলন হয়। উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু, রবীন দেব। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও সমাবেশ না হওয়ায় দলের কর্মীদের অনেকেই অসন্তুষ্ট। এ নিয়ে ক্ষোভ গোপন করেননি তাঁরা। তাঁরা চেয়েছিলেন, তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর আবহে দলীয় নেতৃত্ব জেলার মাটিতে দাঁড়িয়েই কড়া বার্তা দিন। এ ব্যাপারে অবশ্য সিপিএম নেতৃত্ব জানায়, দলের রাজ্য কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্রিগেড সমাবেশের উপরে জোর দিতেই এখানে প্রকাশ্য সমাবেশ করা হয়নি। দলের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী জানান, গত বার জেলা কমিটিতে ৬৯ জন সদস্য ছিলেন। সম্মেলনে জেলা কমিটিতে আপাতত ৫৫ জনের নাম ঠিক করা হয়েছে। বিশেষ আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে ৭ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। দলের পার্টি কংগ্রেসের পরে স্থায়ী এবং আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে আরও কয়েক জনের নাম যোগ হতে পারে। গত বারের কমিটি থেকে কয়েক জন বাদ পড়েছেন। নতুন মুখও রয়েছে। সুদর্শনবাবু বলেন, “জেলায় তৃণমূলের সন্ত্রাস অব্যাহত। তবে সব জায়গাতেই মানুষ কিন্তু বেরোচ্ছেন। গোঘাট, খানাকুল, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া-সহ সব জায়গাতেই স্থানীয় সম্মেলন সেখানেই করা গিয়েছে হামলা সত্ত্বেও। নানা জায়গায় মিছিলও হয়েছে।” জেলা সিপিএমের এক নেতা জানান, তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস এবং তোলাবাজি’ সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করতে আরও বেশি করে কর্মসূচি নেওয়ার ব্যাপারে সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। রূপচাঁদ পাল, সুনীল সরকার-সহ জেলা সিপিএমের অন্য গুরুত্বপূর্ণ নেতারা সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। বিমানবাবুর কথায়, “বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে বিভাজনের রাজনীতি চলছে। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি সেই নীতি রাজ্যেও ছড়িয়ে দিচ্ছে।”
উঠল বাস ধর্মঘট
মুখে বলে বা চিঠি দিয়ে কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ধর্মঘট হওয়ায় নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। ট্রেকার চালকদের ডেকে জানিয়ে দেওয়া হল, নিয়ম ভেঙে ট্রেকারের ছাদে লোক তুললে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উঠে গেল শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাস ধর্মঘট। আইন না মেনে দাপিয়ে বেড়ানো গাড়ির বিরুদ্ধে অজস্র বার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে দরবার করেও ফল না হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে বাস ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন শ্রীরামপুর-জাঙ্গিপাড়া ৩১ নম্বর রুটের বাসমালিকেরা।
দুর্ঘটনায় মৃত ছাত্র
বুধবার সকালে আরামবাগের গৌরহাটি সংলগ্ন কয়েত তলায় স্কুল যাওয়ার পথে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্র শেখ মুস্তাফির (১২) বাড়ি খানাকুলের সাপদে। দুর্ঘটনার পর জনতা মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও যান নিয়ন্ত্রনের দাবিতে সকাল ১১ টা প্রায় দেড়টা পর্যন্ত মৃতদেহ আটকে রাস্তা অবরোধ করেন। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। ট্রাক্টরটি আটক করেছে পুলিশ।
গাড়ি উল্টে মৃত্যু
দুর্গাপুর থেকে কলকাতায় বিয়েবাড়ি যাওয়ার পথে গাছে ধাক্কা মেরে একটি গাড়ি উল্টে মৃত্যু হল এক যুবকের। চালক-সহ অন্য পাঁচ সওয়ারী জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি দাদপুরের সোমসারায় দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে। পুলিশ জানায় মৃতের নাম পিন্টু চৌধুরী (৩২)। বাড়ি দুর্গাপুরের এবিবি কলোনিতে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠায়।
ঢেঁকিছাটা। আরামাবাগের গ্রামে নিজস্ব চিত্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy