Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

বোর্ড গঠনে তৎপরতা বাড়ল

পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামল‌া চলায় হাওড়া জেলায় ১৫৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৪০টিতে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া ও উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৮ ০১:৪৫
Share: Save:

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জট কেটেছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় এসেছে, দুই জেলায় এমন পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনে তৎপরতা শুরু করে দিল শাসকদল। প্রশাসন নির্দেশ দিলেই সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা।

পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসনগুলি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামল‌া চলায় হাওড়া জেলায় ১৫৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে মাত্র ৪০টিতে বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর। এই ৪০টি পঞ্চায়েতের প্রতিটি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্যামপুর-২ ব্লকের ৮টি এবং উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েত। এই ১২টিতে শুক্রবার বোর্ড গঠন করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে বাকি পঞ্চায়েতগুলিতে আর বোর্ড গঠনে কোনও সমস্যা থাকল না বলে জানিয়েছেন গ্রামীণ জেলা তৃণমূল সভাপতি পুলক রায়।

হুগলিতে ২০৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ‘গেরো’ ছিল। একই সমস্যা ছিল ৬টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ১৩টি জেলা পরিষদের আসনেও। ‘গেরো’ কাটলেও এ দিন অবশ্য কোনও প্রক্রিয়া হয়নি। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘আমরা প্রস্তুত আছি। জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিলেই যে কোনও সময় সেই প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।’’

হুগলিতে যে সব পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, সেখানে অবশ্য বোর্ড গঠন শুরু হয়ে গিয়েছে। জয়ী দলীয় সদস্যদের থেকে তৃণমূল নেতৃত্ব আগাম পদত্যাগপত্র এবং দুর্নীতি না-করার অঙ্গীকারপত্র নেওয়ায় ইতিমধ্যে জলঘোলাও শুরু হয়েছে। জয়ী প্রার্থীদের একাংশের দাবি, ওই অঙ্গীকারপত্র এবং পদত্যাগপত্র নেওয়া পঞ্চায়েত বিধির পরিপন্থী। কারণ, কোনও পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগপত্র পেশ করলে আইন অনুয়ায়ী তা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সদস্যদের দেখার বিষয়। সেখানে দলের কোনও ভূমিকা থাকে না। তখন পদত্যাগী সদস্যের কাছে প্রশাসনই শুনানির মাধ্যমে জানতে চায়, তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন নাকি কেউ জোর করে তাঁকে ওই কাজে বাধ্য করিয়েছে। দল সেই শুনানিতে থাকে না।

জেলা প্রশাসনের এক কর্তাও বলছেন, ‘‘কেউ দলীয় স্তরে কী করছেন বলতে পারব না। তবে আইন অনুযায়ী এ ভাবে পদত্যাগপত্র নেওয়া যায় না।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি তপনবাবু অবশ্য বলেন,‘‘এ বার দলীয় স্তরে ওই নিয়ম হয়েছে। সেটাই করানো হচ্ছে। দলের কোনও জয়ী সদস্যই তাঁদের আপত্তির কথা জানাননি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court Verdict TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy