ভাঙচুর: লিয়াকত আলির বাড়ি। — নিজস্ব চিত্র
কাটমানি ফেরতের দাবিতে এ বার হামলা হল পান্ডুয়ার এক তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ছেলের বাড়িতে। নেতার পুত্রবধূ আক্রান্ত হন।
রবিবার রাতে পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোসপাড়া গ্রামের ওই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। মহিলাকে মারধরের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে শেখ আরিফ এবং বাবুলাল মুর্মু নামে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এই গ্রেফতারির প্রতিবাদে সোমবার সকালে মেলাতলা এলাকায় আধঘণ্টা জিটি রোড অবরোধ করে বিজেপি। পরে কাটমানি ফেরতের দাবিতে মিছিলও হয়। হামলার অভিযোগ বিজেপি অস্বীকার করেছে। পাল্টা ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ জানান বিজেপি নেতারা।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নেতার বাড়ি ও তাঁর ছেলের বাড়িতে হামলায় মোট ১৩ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। ধৃতদের সোমবার চুঁচুড়া আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাদের ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বিক্ষোভ: মেলাতলায় জিটি রোড অবরোধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লিয়াকত আলি নামে ওই তৃণমূল নেতা পান্ডুয়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য। তাঁর স্ত্রী আনসুরা বিবি বর্তমান সদস্য। তাঁদের ছেলের বাড়ি কিছুটা দূরে। অভিযোগ, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ বিজেপির জনা কুড়ি যুবক প্রথমে লিয়াকতের ছেলের বাড়িতে চড়াও হয়। তারা সেখানে লিয়াকতের খোঁজ করতে থাকে। কিন্তু তাঁকে না-পেয়ে ছেলের বাড়ির দরজা-জানলা ভাঙচুর করে এবং লিয়াকতের পুত্রবধূকে মারধর করে বলে অভিযোগ। ছেলের থেকে ফোনে এই হামলার কথা জেনে লিয়াকত পুলিশে ফোন করেন। কিন্তু পুলিশ সেখানে যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা লিয়াকতের বাড়িতে চড়াও হয়। ইট মেরে তাঁর দোতলা বাড়ির জানলার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। চলতে থাকে কাটমানি ফেরতের দাবি। পুলিশ আসার আগেই অবশ্য হামলাকারীরা পালায়। লিয়াকতের আহত পুত্রবধূকে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা হয়।
লিয়াকত বলেন, ‘‘বিজেপির দুষ্কৃতীরা ভেবেছিল আমি ছেলের বাড়িতে আছি। তাই প্রথমে ওখানে হামলা চালায়। বৌমাকে মারধর করে। আমি পঞ্চায়েত সদস্য থাকাকালীন কখনও কোনও প্রকল্প থেকে কাটমানি নিইনি। মিথ্যা অভিযোগে হামলা করল বিজেপি। বিষয়টা দল এবং পুলিশকে জানিয়েছি।’’ অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পান্ডুয়া মন্ডলের সভাপতি অশোক দত্তের দাবি, ‘‘আমাদের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নন। লিয়াকত নানা প্রকল্প থেকে কাটমানি নিয়েছিলেন। মোটা টাকার বিনিময়ে বোসপাড়ার পাশে ডিভিসি খালপাড়ের জমি বিক্রি করেছিলেন। তাই এলাকার মানুষই সেই টাকা ফেরত চাইতে গিয়েছিলেন। সেখানে আমাদের কিছু কর্মী ছিলেন। লিয়াকত দলবল নিয়ে তাঁদের মারধর করেন। মিথ্যা অভিযোগে আমাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে।’’ ডিভিসি খালপাড়ের জায়গা বিক্রির ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন লিয়াকত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy