তেলেনিপাড়ায় জেটি ভেঙে দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে প্রায় দেড় মাস। ঘটনার পরই তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল তেলেনিপাড়া ঘাট। আর তার জেরে যাতায়াতের সমস্যায় পড়েন নিত্যযাত্রীরা। সেই সমস্যা মেটাতে এ বার উদ্যোগী হয়েছে ভদ্রেশ্বর পুরসভা। যতদিন না স্থায়ী জেটি তৈরি হচ্ছে তার মধ্যে অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ২৬শে এপ্রিল ভদ্রেশ্বরের তেলেনিপাড়া ফেরিঘাটে জোয়ারের ধাক্কায় কাঠের জেটি ভেঙে নিখোঁজ হন ১৯জন। পরে তাঁদের দেহও মেলে গঙ্গা থেকেই। এই ঘটনার পরই নড়ে বসে রাজ্য সরকার। তড়িঘড়ি জেলার সমস্ত অস্থায়ী জেটিগুলি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই তালিকায় ছিল তেলেনিপাড়া জেটিও। তেলেনিপাড়া ফেরিঘাট দিয়ে দিনে প্রায় পাঁচ থেকে সাত হাজার যাত্রী শ্যামনগর ঘাট পারাপার করতেন। যাতায়াত বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েন তাঁরা। উপায় না পেয়ে যাত্রীরা একদিকে চন্দননগর রানীঘাট থেকে জগদ্দল হয়ে যাতায়াত করছিলেন। আবার অনেকে শ্রীরামপুর-শেওড়াফুলি হয়ে যাতায়াতে বাধ্য হচ্ছিলেন।
যাত্রীদের এই অসুবিধা মেটাতে ভদ্রেশ্বর পুরসভার পক্ষ থেকে পরিবহণ দফতরের কাছে তেলেনিপাড়া ঘাটে স্থায়ী জেটি তৈরির প্রস্তাব পাঠানো হয়। সেই মতো সাড়ে তিন কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু ওই স্থায়ী জেটি তৈরি হতে সাত থেকে আট মাস সময় লাগবে। ততদিন যাতে যাত্রীদের অসুবিধা হয় না, তার জন্য পুরসভা একটি অস্থায়ী জেটি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। ফের প্রস্তাব পাঠানো হয় রাজ্য পরিবহণ দফতরে। ফের মেলে ২৩ লক্ষ টাকার অনুমোদন।
এরপরই অস্থায়ী জেটি তৈরির খসড়া করা হয়। গঙ্গা বক্ষে শালখুঁটির উপর কাঠের পাটাতন দেওয়া ৪০০ ফুট লম্বা এক মজবুত অস্থায়ী জেটি হবে। পুরসভার দাবি, এক মাসের মধ্যে জেটি তৈরি হয়ে যাবে। ভদ্রেশ্বরের পুরপ্রধান মনোজ উপাধ্যায় বলেন, ‘‘ঘাট বন্ধ থাকায় ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে একটি অস্থায়ী জেটি তৈরী করে সমস্যা মেটানো চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy