বিপজ্জনক: বস্তায় রাখা বাজির হরেক মশলা। ঘেটে দেখছে কিশোর ক্রেতা। পাশেই রাখা গ্যাসের সিলিন্ডার। উলুবেড়িয়ায়। নিজস্ব চিত্র
রাস্তার পাশেই খোলা বাজার। পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ী। অ্যালুমিনিয়াম চুর, সোরা (পটাশিয়াম নাইট্রেট), গন্ধক (সালফার), লোহাচুর পাওয়া যাবে ওজন দরে। পাশেই রয়েছে তুবড়ির খোল-সহ অন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ছোট-বড় সকলেই এসে হাত বুলিয়ে দেখে যাচ্ছে। চলছে দরদাম। পকেটে পোষালে কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন সকলে। বাড়ির ছাদে কি বারান্দায় বা উঠোনে বানানো হবে রং মশাল, তুবড়ি বা কালি পটকা, আমড়া বোম।
উলুবেড়িয়ার গরুহাটায় রাস্তার পাশে এমন বারুদের স্তূপ নিয়ে বিকিকিনি চলছে রোজই। সামনেই কালীপুজো যে। মঙ্গলবারই উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ায় ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। সেখানেও নিজের বাড়িতে বাজি বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রবীর মেউর নামে বছর বাহান্নর ওই ব্যক্তিকে প্রথমে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ বাড়িটি সিল করে দিয়েছে।
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার গৌরব শর্মা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তি বাজি তৈরির মশলা পেয়েছিলেন কোথা থেকে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ যদিও মশলা যে অমিল নয় তা বোঝা যায় উলুবেড়িয়ায় ঘুরলেই। উলুবেড়িয়া বাজার ঘুরে বহু দোকানেই পাওয়া যায় বাজির মশলা। চাইলে যে কেউ কিনে নিতে পারেন।
পথ চলতি মানুষই আবার অভিযোগ করেন, ‘‘যে ভাবে রাস্তার মশলা বিকোচ্ছে তাতে যে কোনও সময় বিস্ফোরণ হতে পারে। প্রশাসন বা পুলিশের নজর নেই।’’ উলুবেড়িয়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বড় বিপদ না ঘটলে পুলিশের টনক নড়বে না। তত দিন এ ভাবেই চলতে হবে।’’
উলুবেড়িয়ার উপ-পুরপ্রধান আব্বাসউদ্দিন খান অবশ্য বলেন, ‘‘আমরা পুরসভায় বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি বেআইনি ভাবে বাজি বা বাজির মশলা বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’’ বুধবার অবশ্য উলুবেড়িয়া পুরসভার খেয়া ঘাটগুলিতে নজরদারি চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে বাজি ঢুকছে হাওড়া জেলায়। তাই নজর রাখা হচ্ছে।
পুলিশের দাবি, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শব্দ বাজি আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy