কৃতী: নিজস্ব চিত্র
দ্বিতীয় থেকে প্রথম স্থানে ওঠার জেদটাই শীর্ষস্থানে পৌছে দিল হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের অর্চিষ্মান পাণিগ্রাহীকে!
২০১৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৮৩ নম্বর পেয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অর্চিষ্মান। এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি উঠে এসেছেন শীর্ষস্থানে। তাঁর কথায়, ‘‘মাধ্যমিকের পরে আরও ভাল ফল করার জেদ চেপে বসেছিল। আর, বাড়ির লোকজন, শিক্ষকেরা— সকলেই উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন।’’ অর্চিষ্মানের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। তিনি জানিয়ে দেন, এ বার বেঙ্গালুরুতে পদার্থবিদ্যা নিয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে চান।
অর্চিষ্মান চুঁচুড়ার ধরমপুরের নরেন চট্টোপাধ্যায় লেনের বাসিন্দা। আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে। বাবা অর্ঘ্য পাণিগ্রাহী ঝাড়গ্রাম কলেজের শিক্ষক। মা কাজলীদেবী চুঁচুড়ার একটি স্কুলের শিক্ষিকা। বাড়িতে ঠাকুমা অমিতাদেবী এবং ভাই অভিজ্ঞানের সঙ্গেই বেশি সময় কাটে অর্চিষ্মানের। অর্ঘ্যবাবু বলেন, ‘‘পেশার কারণে অর্চিস্মানকে একদমই সময় দিতে পারি না। তবে, ও মেধা তালিকায় জায়গা করে নেবে, এই বিশ্বাস ছিল।’’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই অর্চিষ্মানকে শুভেচ্ছা জানাতে বাড়িতে ভিড় জমতে থাকে। আসেন মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, স্থানীয় বিধায়ক অসিত মজুমদার। ফোনে শুভেচ্ছা জানান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায়। স্কুলে শিক্ষক থেকে বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে মেতে ওঠেন। সহপাঠীরা তাঁকে কাঁধে তুলে নেন।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ১৯৭১ সালে উচ্চ মাধ্যমিকে এই স্কুলের ছাত্র সৌমেন্দ্রনাথ শিকদার প্রথম হয়েছিলেন। ৪৬ বছর পরে আবার এমন কৃতিত্বে আনন্দের জোয়ার বয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy