কলকাতায় ভাগাড়-কাণ্ড সামনে আসার পর জেলাগুলিতেও হোটেল-রেস্তরাঁ এবং মাংসের দোকানগুলিতে নজরদারি চলছে। অনেক ক্ষেত্রে ক্রেতারাও অভিযোগ তুলছেন। হুগলির দু’টি জায়গা থেকে ফের মরা-পচা মাংস নিয়ে শোরগোল হল।
বৃহস্পতিবার সকালে তারকেশ্বরের এলআইসি মোড়ে একটি মাংসের দোকান থেকে মরা খাসির মংস বিক্রি হচ্ছে, এই অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। মার খেলেন মহম্মদ রাজু নামে ওই দোকানি। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরসভা দোকানটি ‘সিল’ করে দিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মাংসের দোকানটিতে এ দিন সকালে কয়েকজন মাংস কিনতে যান। ক্রেতাদের কেউ মরা খাসি কাটার অভিযোগ তোলেন। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। ভিড় জমে যায় দোকানে। ক্ষিপ্ত লোকজন দোকান-মালিক মহম্মদ রাজুকে মারধর শুরু করেন। রটে যায়, ভাগাড় থেকে মরা খাসি এনে কেটে বিক্রি করা হচ্ছিল।
খবর যায় তারকেশ্বর থানায়। রাস্তায় টহলরত সিভিক ভলান্টিয়াররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মাংস বিক্রেতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ পুরসভাকে বিষয়টি জানায়। তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত দোকানটি ‘সিল’ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন পুরকর্মীদের।
পুরপ্রধান বলেন, ‘‘আমরা এলাকার হোটেল-রেস্তরাঁ এবং মাংসের দোকানে নজর রাখছি। স্থানীয় মানুষ সজাগ থাকায় এ ক্ষেত্রে সুবিধা হল।’’ জেলা (গ্রামীণ) পুলিশের ডিএসপি (হেড কোয়ার্টার) অরিন্দম দাস বলেন, ‘‘পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি দেখছে। নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হবে।’’ তবে, রাজু পুলিশের কাছে অভিযোগ অস্বীকার করে।
এর আগে বুধবার রাতে উত্তরপাড়ার মাখলা হাইস্কুল এলাকায় পচা মুরগির মাংসের গন্ধ ছড়ানোকে ঘিরেও হইচই হয়। সেখানকার একটি পুকুরে কেটারার-এর লোকজন বাসন ধোয়ার সময় ওই দুর্গন্ধ ছড়ায়। পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে তদন্তে যায়। কোন্নগর নবগ্রামের কেটারিং ব্যবসায়ীর দুই কর্মচারীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
তদন্তকারীরা জানান, ওই কেটারিং সংস্থার মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তাঁদের একটি অনুষ্ঠান-বাড়িতে খাবারের বরাত ছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে সেই বরাত বাতিল হয়। কেনা কাটা মুরগির একাংশ নষ্ট হয়ে য়ায়। তাঁরা দিল্লি রোডে পরিত্যক্ত জায়গায় সেই মাংস ফেলে দেন। সেই মাংসের পাত্র কর্মচারীরা ধুতে যেতেই বিপত্তি।
চন্দননগর কমিশনারেটের এডিসিপি অম্লান ঘোষ জানান, পরীক্ষার জন্য পুলিশ পচে যাওয়া মাংসের নমুনা সংগ্রহ করেছে। ওই মাংস কোথাও সরবরাহ করা হয়েছে কিনা, তা-ও খতিয়ে
দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy