—ফাইল চিত্র।
ট্রেন দেরিতে চলার অভিযোগে রেললাইনে নেমে বিক্ষোভ দেখালেন যাত্রীরা। এর জেরে বুধবার অফিসের ব্যস্ত সময়ে প্রায় এক ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকল দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টিকিয়াপাড়ায়। পরে রেলের পদস্থ কর্তারা এসে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ ডাউন জলেশ্বর-হাওড়া মেমু ট্রেনটি টিকিয়াপাড়া স্টেশন পেরিয়ে কারশেডের কাছে সিগন্যাল না পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রায় অনেক ক্ষণ ধরে এমন অবস্থা চলার পরে যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে পড়েন রেললাইনের উপরে। এর পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এক যাত্রী সুশান্ত পাল বলেন, ‘‘প্রায় প্রতি দিনই ট্রেন দেরিতে চলছে। ফলে ঠিক সময়ে অফিস পৌঁছতে পারছি না। স্টেশনে ঢোকার আগে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকছে।’’ এ দিনও একই ভাবে সিগন্যাল না পেয়ে ট্রেন দাঁড়িয়ে পরলে উত্তেজিত হয়ে পরেন যাত্রীরা। প্রতি দিন কেন ব্যস্ত সময়ে এমন হয়রানির শিকার হতে হবে, সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। খবর পেয়ে রেল-সুরক্ষা বাহিনীর বিশাল দল ঘটনাস্থলে যায়। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বললেও তাঁরা অবরোধ তুলতে রাজি হন না। এর পরে রেলের পদস্থ কর্তারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
রেল সূত্রের খবর, দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেন হাওড়া স্টেশনে পূর্ব রেলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। তবে হাওড়া স্টেশনে প্ল্যাটফর্মের উচ্চতা বাড়ানোর কাজ চলছে। তার ফলে পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেনগুলিরই প্ল্যাটফর্মে ঢোকা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের লোকাল ট্রেনগুলি ঢুকতেও সমস্যা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ বলেন, ‘‘এ দিন প্ল্যাটফর্ম না পাওয়ার জন্যই ২১২ নম্বর সিগন্যালের কাছে দাঁড়িয়ে পরে ট্রেনটি। তাতেই যাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভ দেখান।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy