কৈফিয়ৎ: এই সেই চিঠি।—নিজস্ব চিত্র।
সরকারি অর্থের ব্যবহার নিয়ে নানা অভিযোগ তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিনের। এমনকী, পুরসভার নিজস্ব তহবিলের (ওন ফান্ড) টাকা খরচ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এ বার ওই পুরসভার উন্নয়ন খাতের টাকা ব্যবহারের ব্যাখ্যা চাইল রাজ্যের অ্যাকাউন্ট জেনারেলের (এজি) অফিস।
দিনকয়েক আগেই ওই ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় তারকেশ্বরের পুরপ্রধান স্বপন সামন্তকে। এর আগে বিরোধীরা নানা প্রশ্ন তুললেও এ বার সরাসরি সরকার ব্যাখ্যা চাওয়ায় পুর কর্তৃপক্ষ অস্বস্তিতে। পুরপ্রধান অবশ্য বলেন, ‘‘অনেক সময় কাউন্সিলররা নানা খাতে খরচের জন্য টাকা চান। পুর উৎসবের খাতেও খরচ হয়। কিন্তু পরে কাউন্সিলররা সেই খরচের তালিকা সঠিক ভাবে দেন না। এখন সেই ব্যাখ্যাই এজি চাইছে।’’
গত অর্থবর্ষের শেষ পর্যায়ে রাজ্য সরকার পুরসভাগুলির হাল-হকিকত খতিয়ে দেখতে নড়েচড়ে বসে। তার মধ্যে রয়েছে হুগলির তারকেশ্বর পুরসভাও। এখানে একটি খাতের টাকা অন্য খাতে ব্যবহারের ভুরি ভুরি উদাহরণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলররাই।
পুরসভারই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে অন্তত ৩৭ বার বিভিন্ন খাতের ৪৫ লক্ষেরও বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সব খাতের টাকা ব্যবহারের সঠিক ব্যখ্যা এতদিন এজি অফিসে দেওয়া হয়নি। আবার পুর উৎসবের (দুর্গাপুজোর পুরস্কার বিতরণী, বার্ষিক ক্রীড়া) জন্যও নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বহু টাকা ব্যবহার হয়েছে। এ বার সেই বকেয়া ব্যাখ্যাই সরকারি ভাবে চাওয়া হয়েছে।
একেই পুরসভার আর্থিক-স্বাস্থ্য ভাল নয়। উন্নয়নের কাজ নিয়ে পুর এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। পুরসভার এক খাতের টাকা এতদিন যে ভাবে অন্য খাতে ব্যবহার হয়ে এসেছে, তাতে উন্নয়ন বাধা পেয়েছে বলেই মনে করেন অনেকে। আবার বহু ক্ষেত্রে সময়ে কাজ শেষ করতে না-পারায় কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল ফিরে যাওয়াতেও ক্ষোভ রয়েছে কাউন্সিলরদের একাংশের। তাঁরা মনে করছেন, এজি-র কাছে পুরসভা রিপোর্ট পাঠালে অনেক ফাঁক ধরা পড়ে যাবে।
এ কথা অবশ্য পুরপ্রধান উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, কোনও ক্ষেত্রেই সরকারি নিয়মের বাইরে কিছু হয়নি। এখন দেখার, খোদ সরকারি দফতর পুরপ্রধানের ওই দাবিতে সিলমোহর দেয় কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy