ফুটবল খেলায় অনেক দিন ধরেই সাবলীল মহিলারা। কিন্তু মহিলা কোচের সংখ্যা হাতেগোনা। যদিও বর্তমানে ফুটবলের বিভিন্ন বিভাগে কর্পোরেট স্পনসরের আনাগোনা শুরু হয়েছে। ফুটবল কোচিং তো এখন রীতিমতো লাভজনক পেশা। কলকাতা ময়দানের অনেক পুরুষ ফুটবলারই পরবর্তী কালে কোচ হিসেবে নাম করেছেন। কিন্তু মহিলা ফুটবলারেরা খেলা ছাড়ার পরে সেভাবে ময়দানে আসেন না। এই শূন্যস্থান পূরণের জন্যই সদ্য খেলা ছাড়া মহিলা ফুটবলারদের কোচিংয়ের প্রশিক্ষণ দিতে পাঁচ দিনের আবাসিক শিবির করল হাওড়ার গঙ্গাধরপুরের কেশব-উমা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট। শিবিরের সহযোগিতায় ছিল এআইএফএফ এবং আইএফএ।
আয়োজকেরা জানান, শিবিরে যা যা শেখানো হয়েছে তার ভিত্তিতে শেষ দিনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই ফুটবল কোচিংয়ের ‘ডি’ লাইসেন্স মিলবে। এই লাইসেন্স পেলে নার্সারি দলের (অনূর্ধ্ব-১২) কোচিং করানোর সরকারি ছাড়পত্র মিলবে। ‘ডি’ লাইসেন্সের পরে ধাপে ধাপে ‘সি’, ‘বি’, ‘এ’ লাইসেন্স করে নেওয়া যাবে। বর্তমানে আই লিগে প্রশিক্ষণ করাতে গেলে ‘এ’ লাইসেন্স থাকা বাধ্যতামূলক। এই শিবিরে হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর, বর্ধমান-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ১৩ জন প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার যোগ দিয়েছিলেন। এদের মধ্যে ৪ জন জাতীয় ফুটবল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শিবিরটির উদ্বোধন করেন এআইএফএফ-এর পরামর্শদাতা গৌতম ঘোষ।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ শিবিরের মাঠ এবং শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছিল। গঙ্গাধরপুরের যে মাঠে শিবিরটি হয় তার পাশেই রয়েছে আয়োজক সংস্থা পরিচালিত জ্ঞানানন্দ ফুটবল অ্যাকাডেমি। এই অ্যাকাডেমির ছাত্রেরাও প্রশিক্ষণ শিবিরে সহযোগিতা করে। হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘শিক্ষার্থীর সংখ্যা একটু বেশি হলে আরও ভাল লাগত। পরের বার আরও বেশি করে প্রচারের জন্য উদ্যোক্তাদের অনুরোধ করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy