Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Amphan

৬ নেতাকে শো-কজ়ের পর কী? উত্তর অমিল

তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছয় নেতাই তাঁদের চিঠির জবাব দলের জেলা সভাপতিকে দিয়ে দিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২০ ০৭:১১
Share: Save:

মাস ঘুরতে চলল। দুর্নীতিতে অভিযুক্ত হুগলির ছয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দলীয় স্তরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তার উত্তর মিলল না। এতে শুধু বিরোধীরা নয়, শাসকদলের জেলা নেতৃত্বের একাংশও অসন্তুষ্ট। ব্যবস্থা নেওয়া না-হলে বিধানসভা ভোটের আগে দলের ভাবমূর্তি ধাক্কা খাবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

তৃণমূল সূত্রের খবর, অভিযুক্ত ছয় নেতাই তাঁদের চিঠির জবাব দলের জেলা সভাপতিকে দিয়ে দিয়েছেন। জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘পুরো প্রক্রিয়াটাই সংগঠনগত ভাবে চলে। আমাকে যেমন ওঁরা চিঠির উত্তর দিয়েছেন, একই ভাবে আমিও দলের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পুরো বিষয়টিই রেখেছি। পুরো প্রক্রিয়া আলোচনার স্তরেই আছে।’’ কিছুদিন আগেও অবশ্য দিলীপ প্রায় একই উত্তর দিয়েছিলেন।

আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরিতে অনিয়ম, ত্রাণ বণ্টনে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগে গত ২৭ জুন শো-কজ় করা হয় আরামবাগের আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেন, শ্যামপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আব্দুল মিদ্দে, খানাকুল-১ ব্লক যুব তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি শেখ সাকিম, দাদপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জাকির হোসেন মণ্ডল, ওই পঞ্চায়েতেরই সদস্য রূপম ভাবক ও ধনেখালির তৃণমূল নেতা রমজান আলিকে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শো-কজ়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। শেখ সাকিম ও আব্দুল মিদ্দের বিরুদ্ধে বিধি ভেঙে নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগও ছিল।

আমপানে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে চণ্ডীতলা-২ ব্লকের গরলগাছা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মনোজ সিংহকে পদত্যাগ করতে বলেছিল দল। তিনি তা না-করায় দল তাঁকে বহিষ্কার করে। কিন্তু বাকি ছয় নেতা সম্পর্কে তৃণমূল তার অবস্থান না-জানানোয় তাঁদের ভবিষ্যৎ এবং দলের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। হরিপালের আশুতোষ পঞ্চায়েতের দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধেও বেআইনি ভাবে গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূলেরই এক জেলা পরিষদ সদস্যা। দলীয় স্তরে সেই অভিযোগেরও নিষ্পত্তি হয়নি এখনও।

শাসকদলের এই ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধীরা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূলের আবার শো-কজ়? তার আবার ব্যবস্থা? হাজারো দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেও ওদের নেতারা মন্ত্রী-সান্ত্রী হয়ে গেল।’’ বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামল বসুর টিপ্পনী, ‘‘তৃণমূলে আবার দলীয় ব্যবস্থা? একটা দামি শিশু গাছ পড়ে আমার বাড়ির পাঁচিল ভাঙল। ওরা সেই গাছটাও বেচে দিল।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Amphan Corruption
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy