অন্ধকার কাটতে চলেছে হাওড়া জেলার বেশ কিছু ডাকঘরে।
২০১৪ সালে জেলার বেশিরভাগ ডাকঘরে সিবিএস (কোর ব্যাঙ্কিং সিস্টেম) চালু হলেও বাদ পড়েছিল অনেক এলাকা। ফলে এই ডাকঘরগুলি পড়েছিল মান্ধাতা আমলের ব্যবস্থায়। এ বার সিবিএস পদ্ধতির আওতায় আসছে ওই ডাকঘরগুলিও।
জেলা ডাকবিভাগ সূত্রে খবর, যে ডাকঘরে সিবিএস পদ্ধতি চালু হতে চলেছে, সেগুলি হল বাগনান উপ-ডাকঘর, মুগকল্যাণ উপ-ডাকঘর, বাউড়িয়া উপ-ডাকঘর এবং পাঁচলা উপ-ডাকঘর। এই চারটি উপ-ডাকঘরের অধীনে আছে ৭৫টি শাখা-ডাকঘর। ডাক বিভাগে সিবিএস পরিষেবা চালু হয়ে গিয়েছে ২০১৪ সালেই। হাওড়ায় শহর ও গ্রাম মিলিয়ে রয়েছে ১০২টি উপ-ডাকঘর এবং ২৫৫টি শাখা ডাকঘর। বেশিরভাগেই চালু হয়েছে সিবিএস। এইসব ডাকঘরে গ্রাহকদের এটিএম কার্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কার্ড ব্যবহার করে ভারতের যে কোনও ডাকঘরের এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারেন।
কিন্তু এই ব্যবস্থার বাইরে থেকে যাওয়া চারটি উপ-ডাকঘর এবং ৭৫টি শাখা ডাকঘরে এখনও টাকা জমা দেওয়া বা তোলা হয় সাবেক নিয়মে। এলাকার বাইরে গিয়ে গ্রাহকেরা ডাকঘরের অন্য শাখা থেকে টাকা তুলতে বা সেখানে টাকা জমা দিতে পারেন না।
জেলা ডাকবিভাগ সূত্রের খবর, প্রযুক্তিগত অসুবিধার জন্যই এই ডাকঘরগুলিতে সিবিএস চালু সম্ভব হয়নি। এই ডাকঘরে সিবিএস চালু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল। সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন উলুবেড়িয়ার সাংসদ সাজদা আহমেদ। তিনি বলেন, ‘‘জুলাই মাসে চিঠি লিখি ভারতীয় ডাকবিভাগের সদস্য (ব্যাঙ্কিং) উদয়কৃষ্ণাকে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য ডাক অধিকর্তাকে নির্দেশ দেন সমস্যাটি দেখার জন্য। তারপরই জটিলতা কাটে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy