চুঁচু্ড়া আদালতে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র।
ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে নির্মাণ সহায়ক পদে যোগ দিতে এসে গ্রেফতার হলেন এক মহিলা-সহ চার জন। সোমবার হুগলি জেলার পান্ডুয়ায় এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র সক্রিয় কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন পার্থ তুড়ি, অমিত চৌধুরী, শান্ত বিশ্বাস এবং সুমিতা কিস্কু। পার্থর বাড়ি পান্ডুয়ার বৈঁচিতে। অমিত থাকেন খন্যানে। শান্ত মেমারীর মোগলামপুরের বাসিন্দা এবং সুমিতার বাড়ি মগরার হোয়েরায়। সোমবার তাঁদেরকে চুঁচু্ড়া আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে এর পিছনে কোন চক্র আছে কি না, তার খোঁজ চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার পান্ডুয়া বিডিও অফিসে চাকরিতে যোগ দিতে আসেন ওই চার জন। নিয়োগপত্র নিয়ে তাঁরা বিডিও স্বাতী চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। তবে তাঁদের নিয়োগপত্র দেখেই সন্দেহ হয় স্বাতীদেবীর। চাকরীপ্রার্থীদের বসিয়ে রেখে খোঁজখবর করতে শুরু করেন তিনি। এর পর তিনি জানতে পারেন, নির্মাণ সহায়কের কোনও নিয়োগপত্রই ছাড়া হয়নি। সঙ্গে সঙ্গে পান্ডুয়া থানায় ফোন করেন তিনি। ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখিয়ে চাকরি নিতে আসার লিখিত অভিযোগ করে ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন স্বাতীদেবী। বিডিওর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পান্ডুয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি অসিত চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘সরকারকে বদনাম করতে কোনও চক্র এ সব করছে। পান্ডুয়ার কোনও পঞ্চায়েতে নির্মাণ সহায়ক নেওয়া হচ্ছে না। সরকারি চাকরীর জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। তার পর পরীক্ষা নেওয়া হয়। সেই পরীক্ষায় পাশ করলে তার পর নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এ সব কিছুই হয়নি অথচ নিয়োগপত্র নিয়ে চলে এসেছেন অভিযুক্তরা। এর পিছনে কোনও চক্র রয়েছে।
পান্ডুয়ার সিপিআইএম বিধায়ক আমজাদ হোসেনের অভিযোগ, ‘‘চাকরিপ্রার্থীরা চাকরি পাচ্ছেন না। তাই ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এতে ওঁদের দোষ নেই। কারণ এখন সবাই জানে তৃণমূলকে টাকা দিলে চাকরি পাওয়া যায়। আর এর পিছনে কারা আছে, সেটা খুঁজে বার করুক পুলিশ-প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy