Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

জলের তোড়ে ভাঙল রাস্তা, ক্ষোভ গোঘাটে

রাস্তা বিপর্যয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোঘাট-১-এর বিডিও অনন্যা ঘোষ।

ভগ্ন: রাস্তার হাল এখন এমনই। নিজস্ব চিত্র

ভগ্ন: রাস্তার হাল এখন এমনই। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গোঘাট শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:২৭
Share: Save:

এক বছরেরও বেশি সময় ধরে গোঘাটের দেবখালের উপর কংক্রিটের সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। গ্রামবাসীর অভিযোগের পর পূর্ত দফতরের তরফে খালের উপর হিউম পাইপ বসিয়ে বিকল্প রাস্তা বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সকালেই খালে জলের তোড়ে সেই রাস্তাও ভেঙে গিয়ে বিপত্তি বাধল। এর জেরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হল স্থানীয় ১০টি গ্রামের। বন্ধ রইল বাস চলাচলও।

গোঘাটের ভিকদাস থেকে মন্ডলগাঁতি পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। তার মাঝামাঝি মেতুল গ্রাম সংলগ্ন দেবখালের উপর ২০ মিটার লম্বা এবং ৪ মিটার চওড়া কংক্রিটের সেতুটি ভেঙে যায় গত বছর জুলাই মাসে। রাস্তাটি স্থানীয় ভাদুর পঞ্চায়েত এলাকার ১০টি গ্রামের সঙ্গে আরামবাগ-সহ বিভিন্ন শহরে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা। খালের উপরে পূর্ত দফতরের তৈরি বিকল্প রাস্তা বর্ষায় টিঁকবে না-এই দাবি জানিয়ে সেতুটি সংস্কারের দাবিতে স্থানীয় মানুষ ক্ষোভ-বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন।

এ দিন বিকল্প রাস্তাটি ধসে যাওয়ার পর বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। দিলীপ পাখিরা, মোরতজা হোসেন, শঙ্কর রায়, ভূমেন মালিক প্রমুখর অভিযোগ, “রাস্তাটির গুরুত্ব বুঝে সংস্কার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ত দফতরের কর্তারা। সেই সময় খালের উপর হিউম পাইপ বসিয়ে একটি বিকল্প রাস্তা করে দেওয়া হলেও মূল সেতুটি সংস্কারে হাত পড়েনি। খালে জলের স্রোতের চরিত্র জেনে আমরা আগেই বলেছিলাম, বিকল্প রাস্তা জলের তোড়ে ভেঙে যাবে। সেটাই হল। বাস চলাচল বন্ধ হয়ে এখন আমরা বিরামপুর, পারবাগান, বাঘারপাড়, শাঁকাটি, গোপালগঞ্জ প্রভৃতি ১০টি গ্রামের মানুষ বিপন্ন।”

রাস্তা বিপর্যয়ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গোঘাট-১-এর বিডিও অনন্যা ঘোষ। সঙ্গে ছিলেন সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন পালও। বিডিও বলেন, “আমরা পূর্ত দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা খুব শীঘ্রই সেতুটি মেরামত করবেন বলে জানিয়েছেন। সেতু সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত বিকল্প রাস্তার জন্য বলা হয়েছে।”

সকালে পূর্ত দফতর থেকে সরেজমিনে তদন্তে যান মহকুমা পূর্ত দফতরের সহকারী বাস্তুকার নিরঞ্জন ভড় (নির্মাণ)। তিনি বলেন, “সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই অনুমোদন হয়ে কাজ শুরু হবে।” তিনি বলেন, “আপাতত খালের জল একটু কমলেই হিউম পাইপ বসিয়ে বিকল্প রাস্তা করা হবে। আচমকা জলের স্রোতে হিউম পাইপের নিচে দেওয়া বালির বস্তা খুলে বসে যাওয়াতেই এই বিপদ।”

অন্য বিষয়গুলি:

Goghat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy