Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

সহকারী রেফারিকে মারে ধৃত গ্রিয়ারের ৭ জনের জেল-হাজত

সহকারী রেফারিকে মারধরের অভিযোগে ধৃত গ্রিয়ার স্পোর্টিং ক্লাবের পাঁচ ফুটবলার এবং দুই কর্তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। সোমবার চুঁচুড়া ময়দানে আইএফএ আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ফুটবল প্রতিযোগিতায় গ্রিয়ারের সঙ্গে বড়িশা স্পোর্টিং ক্লাবের খেলা ছিল। খেলা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বড়িশা গ্রিয়ারকে পর পর দু’টি গোল দেয়। অভিযোগ, এর ঠিক পরেই সহকারী রেফারি সৌরভ সরকারের একটি সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে গ্রিয়ারের খেলোয়াড়রা তাঁর উপরে চড়াও হন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:০১
Share: Save:

সহকারী রেফারিকে মারধরের অভিযোগে ধৃত গ্রিয়ার স্পোর্টিং ক্লাবের পাঁচ ফুটবলার এবং দুই কর্তাকে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত।

সোমবার চুঁচুড়া ময়দানে আইএফএ আয়োজিত প্রথম ডিভিশন ফুটবল প্রতিযোগিতায় গ্রিয়ারের সঙ্গে বড়িশা স্পোর্টিং ক্লাবের খেলা ছিল। খেলা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যেই বড়িশা গ্রিয়ারকে পর পর দু’টি গোল দেয়। অভিযোগ, এর ঠিক পরেই সহকারী রেফারি সৌরভ সরকারের একটি সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে গ্রিয়ারের খেলোয়াড়রা তাঁর উপরে চড়াও হন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অসুস্থ হয়ে পড়া সৌরভবাবুকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। উত্তেজিত দর্শকেরা ঘটনার প্রতিবাদে মাঠে ঢুকে পড়েন। অবস্থা বেগতিক বুঝে আইএফএ কর্তারা পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারমুখী খেলোয়াড়দের সেখান থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। রাত পর্যন্ত তাঁদের আটক রাখা হয়।

রেফারি গৌতম চক্রবর্তী ওই রাতেই গ্রিয়ারের পাঁচ খেলোয়াড় এবং দুই কর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সাত জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৫ (আঘাত করা), ২২৬ (বুটের স্পাইক দিয়ে মারা), ৩৪১ (এক জনকে ঘিরে মিলিত ভাবে মারধর) এবং ৪৪৭ (বেআইনি ভাবে ঢুকে মারা) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট চৌধুরী হেফাজত করিমের এজলাসে হাজির করানো হয়। ধৃতদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তা নাকচ করে দেন।

চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সৌরভবাবু। তাঁর বুকে, পিঠে, মুখে চোট লাগে। শরীরের কয়েকটি জায়গা ছড়েও যায়। হাসপাতাল সূত্রে জানা দিয়েছে, তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এ দিন সৌরভবাবু বলেন, “গ্রিয়ারের খেলোয়াড়রা যে ভাবে আমার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ল, তা ভাবতে পারছি না। দ্বিতীয় গোলটা অফসাইড ছিল বলে ওরা দাবি করেছিল। তা নয়। আমার কোনও ভুল ছিল না।”

সোমবার ওই খেলা চলাকালীন দর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার পাঙ্খাটুলির বাসিন্দা অর্ণব মজুমদার। তিনি বলেন, “একটি প্রথম ডিভিশন ফুটবল লিগের খেলোয়াড়রা যে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে পারেন, তা আগে কখনও চুঁচুড়ায় দেখিনি। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য ক্রীড়া কর্তাদের নজর দেওয়া দরকার।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy