জলের অপচয় রুখতে ‘ফ্লো মিটার’ লাগাবে হাওড়া পুরসভা।
কলকাতার মতোই এ বার হোটেল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র এবং শিল্প কারখানায় ‘ফ্লো মিটার’ লাগাবে হাওড়া পুরসভা। জনমোহিনী নীতির দিকে না গিয়ে তৃণমূল শাসিত হাওড়া পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অতিরিক্ত জল ব্যবহার করলে এখন থেকে তার ‘দাম’ নেওয়া হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত থেকে বাদ রাখা হয়েছে গৃহস্থদের।
পুরকর্তাদের দাবি, পানীয় জল উত্পাদনে প্রচুর খরচ হয় পুরসভার। টাকা আসে বিভিন্ন রকম কর থেকে। তাই পুরসভার সিদ্ধান্ত, জল খরচের হিসেব রাখার ‘ফ্লো মিটার’ বসিয়ে রোজ পদ্মপুকুর জল প্রকল্প-সহ শহরের সমস্ত হোটেল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও শিল্পকারখানায় নজরদারি শুরু হবে।
মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, “জলকর নেওয়া দলের নীতি-বিরুদ্ধ হওয়ায় তা ধার্য হবে না। হোটেল, বাণিজ্যিক সংস্থা ও শিল্প কারখানাগুলি কত জল ব্যবহার করবে, তা আগে জেনে নেওয়া হবে। অতিরিক্ত জল ব্যবহার করলেই ‘ফ্লো মিটার’ দেখে জলের দাম ধার্য হবে।”
পাইপে মোটর বসিয়ে জল ‘হুকিং’ আটকাতেও কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মেয়র বলেন, “এ বার বাড়ি বাড়ি গিয়ে কলের লাইন পরীক্ষা হবে। যাঁরা পাম্প করে জল নিচ্ছেন, প্রথমে তাঁদের নোটিস দেওয়া হবে ও পরে কেটে দেওয়া হবে লাইন।”
অন্য দিকে, তিন দিন প্রায় নির্জলা থাকার পরে চতুর্থ দিনেও জল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি হাওড়ায়। বটানিক্যালে জলপ্রকল্পে মঙ্গলবার রাত থেকে সরবরাহ শুরু হয়। কিন্তু অভিযোগ, রাতেও বহু এলাকায় ঠিক মতো জল পৌঁছয়নি। তাই সকালে ও রাতে আধ ঘণ্টা বেশি সময় জল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মেয়র জানান, পাইপে হাওয়া ঢুকে জল যায়নি।
মেয়র পারিষদ (জল) অরুণ রায়চৌধুরী বলেন, “দু’এক দিনে সমস্যা মিটবে। কিছু দিনের মধ্যে সংযুক্ত এলাকায় যে তিনটি জলাধার দশ বছর ধরে তৈরি হয়ে পড়ে রয়েছে, সেগুলিতে সরবরাহ শুরু হবে। ফলে পুরসভার ওই ৬টি ওয়ার্ডেও সমস্যা মিটবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy