স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির বিক্ষোভ।—নিজস্ব চিত্র।
কর্মহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার দুপুরে চুঁচুড়ায় জেলা পরিষদ ভবনে সভাধিপতির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন হুগলি জেলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কয়েকশো সম্পদ কর্মী।
গ্রামের গরিব পরিবারের মহিলারা যাতে স্বনির্ভর হতে পারেন, তার জন্য তাঁদের হাতে-কলমে নানা জিনিস তৈরির প্রশিক্ষণ বা ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা-সহ নানা কাজ করেন ওই সম্পদ কর্মীরা। জেলার ১৮টি ব্লকের ২০৭টি পঞ্চায়েতের অধীনে প্রায় ছ’হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় সম্পদ-কর্মীর সংখ্যা ৪০০। তাঁরা সাম্মানিক হিসেবে মাসে ৫০০ টাকা করে পান। রয়েছে কমিশনও। সম্প্রতি এক সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়, যে সব সম্পদ-কর্মীর বয়স ৪৫ বছরের বেশি এবং যাঁরা মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ তাঁদের দিয়ে ওই কাজ আর করানো যাবে না।
এরই প্রতিবাদে এ দিন প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান সম্পদ কর্মীরা। প্রথমে তাঁরা জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে স্মারকলিপিও দেন। তাঁদের অভিযোগ, চার মাস ধরে তাঁরা সাম্মানিক বা যাতায়াতের খরচটুকুও পাচ্ছেন না। ওই নির্দেশিকা বলবত্ হলে তাঁরা পথে বসবেন।
জেলাশাসক মনমীত নন্দা জানান, স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি চালানোর জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বিশ্বব্যাঙ্কও টাকা দেয়। বিশ্বব্যাঙ্কই সম্প্রতি ওই নির্দেশিকা পাঠায়। সেই নির্দেশিকাই জানানো হয়েছে। জেলা গ্রামোন্নয়ন দফতরের স্বনির্ভর প্রকল্প আধিকারিক স্বরূপ মালিক বলেন, “জেলা প্রশাসনের তরফে সম্পদ কর্মীদের দেওয়া স্মারকলিপি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” জেলা সভাধিপতি মেহবুব রহমান জানান, এ দিন যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁদের অনেকেই মাধ্যমিক পাশ। বয়সও ৪৫-এর কম। তাঁরা অহেতুক কাজ হারানোর আশঙ্কা করছেন। বাকিদের যাতে কোনও ভাবে কাজে বহাল রাখা যায় সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হবে। রাজ্য প্রশাসনকে জানানোরও আশ্বাস দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy