হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা আমিরুদ্দিন খান। — নিজস্ব চিত্র।
একটা সময়ে মেধাবী ছাত্র ছিল। সেই ছেলেই এখন আল কায়দা জঙ্গি! খবরটা জেনে বিস্মিত হাওড়ার সাঁকরাইলের মাসিলার বাসিন্দা আমিরুদ্দিন খানের পরিবারের সদস্যেরা। সোমবার কাশ্মীরে পুলিশের হাতে জঙ্গি সন্দেহে ধরা পড়েছে মাসিলার বাসিন্দা আমিরউদ্দিন। তার কাছে মিলেছে অস্ত্রশস্ত্রও। সেই খবর পৌঁছেছে সাঁকরাইলের মাসিলা গ্রামেও।
কাশ্মীর পুলিশের দাবি, জামাকাপড়ের ব্যবসা এবং শিক্ষকতার আড়ালে আসলে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে সক্রিয় ভাবে কাজকর্ম করত আমিরউদ্দিন। কাশ্মীর পুলিশের আরও দাবি, তাকে গ্রেফতার করার পর জেরা করে উঠে এসেছে এমন নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। সাঁকরাইলের মাসিলার পাঠানপাড়ার বাসিন্দা আমিরুদ্দিন। বর্তমানে সে কাশ্মীরে সস্ত্রীক বসবাস করত। জঙ্গি গোষ্ঠী আল কায়দার সঙ্গে তার যোগ আছে বলেই মনে করছে পুলিশ। সোমবার কাশ্মীর পুলিশ গ্রেফতার করে তাকে। তার কাছে পাওয়া যায় চিনা গ্রেনেড এবং অস্ত্রশস্ত্রও। ভাইয়ের এই ‘কীর্তি’ শুনে বিস্মিত দাদা আজহারউদ্দিন খান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা পাঁচ ভাই এবং দুই বোন। আমিরুদ্দিন সবচেয়ে ছোট। সে উত্তরপ্রদেশের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছে। ছাত্রাবস্থায় অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিল সে। ২০০৭ সাল থেকে সে কাশ্মীরে বসবাস করছে। এখানে সে শিক্ষকতা করত। পড়ানোর পাশাপাশি জামাকাপড়ের ব্যবসাও করত। সাঁকরাইলের বাড়ি থেকে পাইকারি হারে তার কাছে জামাকাপড় পাঠানো হত। এ বছর ঈদের সময় সে শেষ বার বাড়িতে এসেছিল।’’
মাসিলার বাসিন্দা বাবাই মির বলেন, ‘‘আমাদের গ্রামের গর্ব ছিল আমিরুদ্দিন। জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে সে কোনও ভাবেই যুক্ত থাকতে পারে না।’’ আমিরুদ্দিনের পরিবারের সদস্য এবং গ্রামবাসীদের একাংশ মনে করছেন ফাঁসানো হয়েছে তাকে। আমিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে ভারতীয় অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে মামলা শুরু হয়েছে। মামলা শুরু হয়েছে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy