কয়েক দফা দাবিতে গোন্দলপাড়া জুট মিলের শ্রমিকদের বিক্ষোভ চন্দননগরে। ছবি: তাপস ঘোষ।
বন্ধ গোন্দলপাড়া জুট মিল খোলার দাবিতে মঙ্গলবার চন্দননগরের মহকুমাশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করলেন শ্রমিক পরিবারের কয়েকশো সদস্য। চন্দননগর নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে ওই কর্মসূচি নেওয়া হয়। শ্রমিকদের অভিযোগ, এর আগে রাজ্য সরকার মিল খোলার ব্যাপারে সদর্থক পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের তরফে শ্রমিকদের রেল অবরোধ কর্মসূচি আটকে বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু, কাজের কাজ হয়নি।
নাগরিক কমিটির সহ-সম্পাদক, সিপিএম নেতা হীরালাল সিংহ জানান, এ দিন তাঁদের সঙ্গে মহকুমাশাসক অয়ন দত্তগুপ্ত বৈঠক করেন। শ্রমিক মহল্লায় ১৬ ঘণ্টা জল ও বিদ্যুৎ থাকছে। তা ২৪ ঘণ্টা নিশ্চিত করতে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন মহকুমাশাসক। মিল দ্রুত খুলতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ করছে, তাও জানানোর আশ্বাস দেন। আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ফের মহকুমাশাসকের কাছে তাঁরা যাবেন। মিল খোলার ব্যাপারে এর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনও পদক্ষেপ না করা হলে আরও বড় আন্দোলন হবে।
মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘ওই জুট মিল নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে এত দিন, ওঁদের বুঝিয়ে বলি। শ্রম দফতরের অফিসাররাও ছিলেন। আমরা ওঁদের নির্দিষ্ট কোনও আশ্বাস দিইনি। তবে, কী ভাবে জট কাটিয়ে ওঠা যায়, প্রশাসনিক ভাবে আমরা সেই চেষ্টা করছি।’’
বর্তমানে গোন্দলপাড়া শ্রমিক মহল্লায় অন্তত চার হাজার শ্রমিক থাকেন। মিল বন্ধে তাঁদের অসহায় অবস্থা। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা প্রশ্নের মুখে। মিলের এক সময়ের কর্মী গৌতম গুহরায় কর্মসূচিতে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান এবং অবসরপ্রাপ্ত বহু শ্রমিক ন্যায্য বকেয়া পাচ্ছেন না। ফাউলাই প্রকল্পের টাকা সময়ে মিলছে না। শ্রম দফতর হাত গুটিয়ে বসে। শ্রমিক যাবেন কোথায়?’’
এর আগে প্রশাসন ও শ্রম দফতরে আর্থিক মন্দার কথা জানিয়ে মিল কর্তৃপক্ষের আর্জি ছিল, জুট মিলের একটি জমিজট সরকারি উদ্যোগে মিটিয়ে দিলেই ঋণ নেওয়ার সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। তখন, মিল খোলা সহজ হবে।
হীরালাল জানান, শ্রমিক পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে সাধারণ মানুষের কাছে অর্থ সাহায্যের আহ্বান জানানো হয় নাগরিক কমিটির তরফে। লক্ষাধিক টাকা উঠেছে। তা দিয়ে আগামী জুন মাসে শ্রমিক পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সামগ্রী দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy