বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হেনস্থা মহিলাকে। —নিজস্ব চিত্র।
আবার চোর সন্দেহে শারীরিক হেনস্থার ঘটনা হুগলিতে। এ বার ঘটনাস্থল তারকেশ্বর। চোর সন্দেহে এক মহিলাকে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে হেনস্থার অভিযোগ উঠল গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারে মহিলার হাত বেঁধে টোটোতে চাপিয়ে গোটা গ্রামে ঘোরানো হয়।
ছেলেধরা এবং চোর সন্দেহে রাজ্যের যত্রতত্র গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। তাতে মৃত্যুও হয়েছে। আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আবেদন এবং সন্দেহভাজন কিছু দেখলে পুলিশে খবর দেওয়ার পাশাপাশি থানার ফোন করার জন্য এলাকায় এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে প্রশাসন। মাইকিং করে, পোস্টার সাঁটিয়ে সচেতনতা মূলক প্রচার করেছিল হুগলি গ্রামীণ পুলিশও। কিন্তু তার পরেও একই ছবি দেখা গেল মঙ্গলবার। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুরে এক মহিলা সঙ্গে এক বালককে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করছিলেন। কয়েক জন গ্রামবাসী অভিযোগ করেন চাঁদুর এলাকার ভান্ডারিপাড়ায় একটি ফাঁকা বাড়িতে ঢুকে টাকা চুরি করে চম্পট দেন ওই মহিলা। তার পরেই গ্রামে রটে যায় চুরির ঘটনা। মহিলাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে তারকেশ্বরের চাউলপট্টি এলাকায় ওই মহিলাকে ধরে তাঁর দুটো হাত বেঁধে টোটোয় চাপিয়ে গ্রামে নিয়ে আসা হয়। তার পরে একটি খুঁটিতে বেঁধে শুরু হয় হেনস্থা।
চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে মানসী ভান্ডারি নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘কলে কাপড় কাচছিলাম। সে সময় এক মহিলা ঘরে ঢুকে পড়ে। ঘর থেকে কলসি বার করছিল। বিছানার চাদর উল্টে কিছু টাকাপয়সা নিয়েছে। কিন্তু সেটা কোথাও ফেলে দিয়েছে। আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের বই সব জলে ফেলে দিয়েছে। ধরব বলে যেতেই মাঠ দিয়ে ছুটে পালাচ্ছিল।’’ কিন্তু থানায় খবর না-দিয়ে মহিলাকে হেনস্থার বিরোধিতা করেছেন স্থানীয়দের একাংশও। খবর যায় পুলিশের কাছে। ওই ঘটনা প্রসঙ্গে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, ‘‘এক মহিলাকে ধরে রেখেছিল। তবে মারধর করা হয়নি বলে খবর পেয়েছি। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কী ঘটেছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy