কৃষক বাজার। নিজস্ব চিত্র
বছর কয়েক আগে সপ্তগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জিটি রোডের ধারে গড়ে উঠেছিল কৃষক বাজার। খান পঁচিশ দোকান রয়েছে, যেখানে বসে চাষি ফসল বেচতে পারতেন। কিন্তু চালুর পর থেকেই কার্যত বন্ধ এই বাজার। সরকারি কর্মসূচিতে ধান বা আলু কেনার প্রয়োজনে কয়েক দিনের জন্য খোলা হয় মাত্র। চাষিদের ক্ষোভ, ওই বাজার তৈরিতে উপযুক্ত স্থান নির্বাচন না করাতেই এই পরিস্থিতি।
চুঁচুড়া-মগরা ব্লকে পঞ্চায়েত ১০টি। তার মধ্যে চন্দ্রহাটি--১ এবং ২ গঙ্গালাগোয়া। সেখানে ভাঙন বড় সমস্যা। ভাঙনের কবলে চন্দ্রহাটি ১-এর নয়াসরাই খেয়াঘাটের কাছে বিমলা ব্যানার্জি কলোনিতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছিল। বছর খানেক আগে শাল-বল্লা দিয়ে ঠেকনা দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রহাট-২ পঞ্চায়েতেও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। ঘর বাঁচাতে পাকাপাকি ভাবে ভাঙন ঠেকানোর দাবি তুলছেন এলাকাবাসী।
জিটি রোড ঘেঁষা মগরা-১ এবং ২ পঞ্চায়েত মূলত ব্যবসায়িক কেন্দ্র। ছোট ছোট কল-কারখানা আছে। দোকানপাট, প্রেক্ষাগৃহ, ব্লক অফিস, থানা, মগরা গ্রামীণ হাসপাতাল মিলিয়ে এ তল্লাট জমজমাট। অথচ, দুই পঞ্চায়েতেই বহু রাস্তা খানাখন্দে ভরা। নিকাশির সমস্যা জমিয়েছে ক্ষোভ।
দিগসুই-হোয়েরা পঞ্চায়েত কৃষিপ্রধান এলাকা। ধান, আলু-সহ বিভিন্ন আনাজ চাষ হয়। যদিও, আশপাশে আনাজ সংরক্ষণ কেন্দ্র বা হিমঘর নেই। চাষিরা বলছেন, বিগত দিনে এ নিয়ে আশ্বাস মিললেও কাজের কাজ হয়নি। সেচেরও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ দাসের অবশ্য মন্তব্য, ‘‘গত পাঁচ বছরে এলাকার ৯৯ শতাংশ চাষি সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। চাষির সেই অর্থে কোনও সমস্যা নেই।’’ এই দাবি শুনে হাসছেন চাষি।
ব্যান্ডেল পঞ্চায়েত এলাকায় নিকাশি একটা বড় সমস্যা। বর্ষা হলেই জলমগ্ন হয় রাস্তাঘাট। জলে ডুবে থাকা ব্যান্ডেল সাবওয়ে দিয়ে চলাচল করার উপায় থাকে না। জিটি রোড সংলগ্ন রসভরা খালের কিছুটা সংস্কার হলেও নিকাশির হাল পুরোপুরি ফেরেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই পঞ্চায়েতের একটি বড় অংশ রেল কলোনি। রাজ্য ও রেল— দুই প্রশাসনের সমন্বয়ের অভাবে এখানে উন্নয়নে খামতি রয়েছে।
তৃণমূলের জমানায় দেবানন্দপুর পঞ্চায়েত এলাকায় নতুন রাস্তাঘাট হলেও সংস্কারের অভাবে তার দৈন্য দশা। এখানে সাধারণের বড় সমস্যা জল। বাড়ি বাড়ি নলবাহিত কল বসলেও, জল পড়ে না।
কোদালিয়া-১ এবং ২ পঞ্চায়েতের এক দিক চুঁচুড়া শহরঘেঁষা। বাকি অংশ গ্রামীণ। দুই জায়গাতেই নিকাশি এবং পানীয় জল নিয়ে বিস্তর সমস্যায় এলাকাবাসী। ক্ষোভ রয়েছে জঞ্জাল সাফাই এবং আলো নিয়েও। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অবশ্য দাবি, সার্বিক ভাবে সব পঞ্চায়েতে উন্নয়নের প্রচুর কাজ হয়েছে। এলাকায় চোখ ফেললেই, তা দেখা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy