Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Organic Gas Treatment plant

পাশের শহরে জৈব গ্যাস প্রকল্প হলে বর্জ্য-সমস্যা কমবে চুঁচুড়ায়

বাড়ি থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলার বিকল্প জায়গার সন্ধান দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছে হুগলি-চুঁচুড়া পুর-কর্তৃপক্ষ।

পুরসভার অর্ন্তগত বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ আবর্জ্জনার স্তূপ। চুঁচুড়ার সুকান্তনগরে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চুঁচুড়া শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩১
Share: Save:

ক্রমেই বেড়ে চলেছে বর্জ্যের পরিমাণ। সেই চাপে নাজেহাল হুগলি-চুঁচুড়া শহর। এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের আশা দেখা যাচ্ছে, পাশের শহর চন্দননগরে জৈব গ্যাস তৈরির প্রকল্পকে ঘিরে।

ব্যাজরা এলাকায় সিএনজি (কমপ্রেসেড ন্যাচারাল গ্যাস) প্রকল্পের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চন্দননগর পুরসভা। রাজ্য নগরোন্নয়ন সংস্থা (সুডা) তাতে অনুমোদন দিয়েছে। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, পচনশীল বর্জ্য থেকে ওই গ্যাস তৈরি করা হবে। চন্দননগরে বাড়ি বাড়ি সংগৃহীত আবর্জনা থেকে ওই প্রকল্পে বর্জ্যের চাহিদা মিটবে না। সে কারণেই চুঁচুড়া এবং আশপাশের পঞ্চায়েতের পচনশীল বর্জ্য ওই প্রকল্পে আনার কথা চলছে। তাতেই নিজেদের এলাকার জঞ্জালমুক্তির আশা দেখছে জেলার সদর শহর হুগলি-চুঁচুড়া।

তবে এই শহরে বর্জ্য প্রতিস্থাপনে আধুনিক প্রকল্প না-থাকার বিষয়টিও ফের উঠে আসছে। চন্দননগরে পাঠানো যাবে পচনশীল বর্জ্য। কিন্তু অপচনশীল বর্জ্যের কী গতি হবে, থাকছে এই প্রশ্ন।

বাড়ি থেকে সংগৃহীত বর্জ্য ফেলার বিকল্প জায়গার সন্ধান দীর্ঘ দিন ধরেই করে আসছে হুগলি-চুঁচুড়া পুর-কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক দশক ধরে পুরসভার সুকান্তনগরে যেখানে বর্জ্য ফেলা হয়, সেখানে জায়গার অভাব দেখা দিয়েছে। পুরপ্রধান অমিত রায় বলেন, ‘‘সুকান্তনগরে ভাগাড়ে জায়গার অভাব বহু দিনের। শহরের মধ্যে বিকল্প জায়গা আমরা পাচ্ছি না। সুডাকে ইতিমধ্যেই সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছি। চন্দননগরে সিএনজি প্রকল্প হলে আমাদের শহরের বর্জ্যের সমস্যা অনেকটাই মিটবে। আমি ওই বৈঠকে ছিলাম।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আমরা আমাদের শহরে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করছি উৎসস্থল থেকেই। প্লাস্টিক নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। তা নিয়েও আমরা চিন্তাভাবনা করছি।’’

ওই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় জমি ও প্রাথমিক অনুমোদন ইতিমধ্যেই চন্দননগর পুর কর্তৃপক্ষ পেয়ে গিয়েছেন। সম্প্রতি তাঁরা হুগলি জেলা প্রশাসনের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে প্রকল্পটি নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানেই প্রকল্পের চূড়ান্ত রূপারেখা তৈরি হয়। পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যাজরায় ৫ একর জমির উপরে প্রকল্পটি হবে।

চন্দননগরের পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডুর বক্তব্য, প্রস্তাবিত প্রকল্পটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর। প্রতি দিন ৬০-৮০ মেট্রিক টন পচনশীল বর্জ্য লাগবে। যে বর্জ্যকে উৎসস্থল থেকেই পৃথক করতে হবে। প্লাস্টিক বা অন্য অপচনশীল দ্রব্য মিশে থাকলে চলবে না। তিনি বলেন, ‘‘প্রকল্পের প্রয়োজনেই হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভা ছাড়াও জেলা সদর ও চন্দননগর লাগোয়া পঞ্চায়েতগুলি থেকেও অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। তাতে ওই সমস্ত এলাকার বর্জ্য নিয়ে সমস্যা অনেকটাই দূর হবে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Chinsurah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy